শ্রীকৃষ্ণের মাথার ময়ূরের পালক শোভাপেত। প্রচলিত বিশ্বাস এই পালক ঘরে রাখলে শুভ শক্তির আবির্ভাব হয়। দূর হয়ে যায় অশুভ শক্তি।
জন্মাষ্টামী ২০২৩ (Janmashatami 2023 ) ৬ সেপ্টেম্বর। পুরাণ অনুযায়ী এই দিনই জন্ম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের। শ্রীকৃষ্ণের অত্যান্ত প্রিয় জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল ময়ূরের পালক। যেটি ছোট থেকে বড় অবস্থা পর্যন্ত শোভাপেত তাঁর মাথায়। হিন্দুশাস্ত্রে ময়ূরের পালক অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি গৃহস্থের মঙ্গলের পথ দেখায়। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী পারিবারিক সমস্যার সমাধান করে একটি ময়ূরের পালক।
শ্রীকৃষ্ণের মাথার ময়ূরের পালক শোভাপেত। প্রচলিত বিশ্বাস এই পালক ঘরে রাখলে শুভ শক্তির আবির্ভাব হয়। দূর হয়ে যায় অশুভ শক্তি। জন্মাষ্টমীর দিন ময়ূরের পালক ঘরে আনলে বাস্তু দোষ কেটে যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। কাজে বাধা দূর হয়। পরিবারের শান্তি আসে। অনেকেই মনে করেন শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
ময়ূর পালকের উপকারিতা-
বাস্তু দোষ মুক্ত করার জন্য বাড়িতে শ্রীকৃষ্ণের ছবির পাশে সেই ময়ূর পালক রেখে দিতে পারেন।
জন্মকুণ্ডলীতে কালসর্প দোষ থাকলে ময়ূর পালক প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ৭টি ময়ূর পালক বালিশের নিচে রেখে দিতে হবে। তাকে কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আর্থিক সমস্যা থাকলে জন্মাষ্টমীর দিন কোনও কৃষ্ণমন্দিরে গিয়ে ময়ূরের পালক অর্পণ করুব। ৮ দিন পরে সেই পালক ফিরিয়ে এনে যেখানে টাকা পয়সা গচ্ছিত রাখেন সেখানে রেখে দিন। তাতে আর্থিক সংকট কেটে যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
পারিবারিক অশান্তি দূর করতে ময়ূরের পালত গঙ্গাজলে ভিজিয়ে দিয়ে সেই জলের ছড়া গোটা বাড়িতে দিন। সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ময়ূরের একটি পালক বালিসের নিচে রাখলে স্বপ্নদোষ কেটে যায়।
শুভ কাজে যাওয়ার সময় পার্সে ময়ূরের পালকের কিছু অংশ ভেঙে নিয়ে যেতে পারেন। তাহলে আটকে যাওয়া কাজ বিনা বাধায় সম্পন্ন হবে।