
২০২৩ সালের শেষ চন্দ্রগ্রহণকে খুব বিশেষ বলে মনে করা হয় কারণ এটি ভারতেও দৃশ্যমান হবে। এর সুতক আমলও বৈধ হবে। বিশেষ ব্যাপার হল এই চন্দ্রগ্রহণ হচ্ছে এবং এই দিনে লক্ষ্মীপুজো বা শারদীয় পূর্ণিমা পড়েছে। শাস্ত্রে শারদীয় পূর্ণিমার দিনে পায়েস তৈরি ও খাওয়ার গুরুত্ব রয়েছে।
লক্ষ্মীপুজো বা শারদ পূর্ণিমার রাতে অমৃতের বৃষ্টি হয় বলে বিশ্বাস করা হয়, তাই খীর বা পায়েস খোলা আকাশে রাখা হয় যাতে অমৃতের গুণ পাওয়া যায়, কিন্তু এবার লক্ষ্মীপুজো বা শারদ পূর্ণিমা চন্দ্রগ্রহণের ছায়ায় থাকবে।
লক্ষ্মীপুজো ২০২৩ মুহুর্ত-
আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা শারদ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। এই বছর শারদ পূর্ণিমা ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে। এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর পুজোর পাশাপাশি সত্যনারায়ণ ও চন্দ্রের পূজা করা হয়।
লক্ষ্মীপুজোর তিথি শুরু - ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ৪ টা ১৭ মিনিট থেকে
আশ্বিন পূর্ণিমার তারিখ শেষ - ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১ টা ৫৩ মিনিট থেকে
লক্ষ্মী পূজার সময় চন্দ্রগ্রহণের সূতক সময় থাকবে। সূতকের সময় ঈশ্বরের পূজা করা হয় না
২০২৩ সালের চন্দ্রগ্রহণ কবে-
২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে চন্দ্রগ্রহণ হচ্ছে, এই খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ভারতেও দৃশ্যমান হবে, তাই এর সূতক সময়কাল বৈধ থাকবে। চন্দ্রগ্রহণ গভীর রাতে শুরু হবে তবে এর সুতক সময় পূর্ণিমার তারিখে ৯ ঘন্টা আগে শুরু হবে।
চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রশ্মি দূষিত হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। দুপুর ২টা থেকে চন্দ্রগ্রহণের সূতক সময় শুরু হবে। সূতক সময়ে খাদ্য ও নৈবেদ্য প্রস্তুত করা হয় না। আপনি চাইলে গ্রহণ শেষ হওয়ার পর খাবার খেতে পারেন।
রাশির উপর প্রভাব-
এই যোগ মিথুন, সিংহ ও কর্কট এই ৩ রাশির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এই তিন রাশি আর্থিক সকল প্রকার সমস্যা দূর করবে। চাকরি ও ব্যবসাও আসবে আমূল পরিবর্তণ।