মহাশিবরাত্রিতে মহাদেব এবং মা পার্বতীর পূজা করার পাশাপাশি কিছু বিশেষ জিনিস নিবেদনের মাধ্যমে ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এর মধ্যে থাকা সমস্ত জিনিসই ভগবান শিবের প্রিয়।
হিন্দু ধর্মে মহাশিবরাত্রির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তিথি অনুযায়ী প্রতি মাসে শিবরাত্রি আসে, তবে সবচেয়ে বড় মহাশিবরাত্রি আসে ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীতে। এই দিনে ভগবান শিবের উপবাস করে তাঁর পূজা করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে এই দিনে ভগবান শিব ও মা পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। এই কারণেই এই দিনে শিব এবং মা পার্বতীর আরাধনা করা হয়। ভগবান সবার ইচ্ছা পূরণ করেন। জীবনে কোন কষ্ট থাকে না। কাঙ্খিত জীবনসঙ্গী অর্জিত হয়।
মহাশিবরাত্রিতে মহাদেব এবং মা পার্বতীর পূজা করার পাশাপাশি কিছু বিশেষ জিনিস নিবেদনের মাধ্যমে ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এর মধ্যে থাকা সমস্ত জিনিসই ভগবান শিবের প্রিয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক শিবলিঙ্গে কী কী অর্পণ করা উচিত।
দুধ দিয়ে অভিষেক
মহাশিবরাত্রিতে শিবলিঙ্গের দুধ দিয়ে অভিষেক করতে হবে। এটা খুবই ফলপ্রসূ। শিবলিঙ্গে দুধ দিয়ে রুদ্রাভিষেক করলে মহাদেব সকলের মনস্কামনা পূরণ করেন। জীবনে আসে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
জল
মহাশিবরাত্রিতে মহাদেবের পূজার পাশাপাশি শিবলিঙ্গে জল অর্পণ করা খুবই শুভ। জল নিবেদনের সময় ওম নমঃ শিবায় জপ করুন। এতে মন শান্ত থাকে। মানসিক সমস্যা দূর হয় এবং ব্যক্তি জীবনে সুখী থাকে।
বেলপাতা
ভগবান শিব বেলপাতা খুব পছন্দ করেন। শিবরাত্রিতে ভগবান শিবের পুজো করার পাশাপাশি তাঁকে বেলপাতাও দেওয়া উচিত। মহাশিবরাত্রিতে ১১ বা ২১টি বেলপাতা পাতা নিবেদন করা খুবই শুভ। এতে ব্যক্তির সকল ইচ্ছা পূরণ হয়।
লাল জাফরান
মহাশিবরাত্রির পূজার সময় শিবলিঙ্গে লাল জাফরানের তিলক লাগান। এতে জীবনে চলমান মাঙ্গলিক দোষ দূর হবে। এটি ভদ্রতা নিয়ে আসে। জীবনে সুখ শান্তি পায়।
মধু
মহাশিবরাত্রির পূজার সময় শিবলিঙ্গে মধু মাখাতে হবে। এতে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন। এর কারণে ব্যক্তির কথাবার্তা মধুর হয়ে ওঠে। এটি জীবনে সুখ ও শান্তি নিয়ে আসে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।