রামনবমী তিথিতে ভগবান শ্রী রামের পুজোর জন্য বিশেষ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। যা পালন করলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। জ্য়োতিষ মতে মনে করা হয় এই সময় বিধি মেনে প্রভু শ্রীরামের পুজো করলে পরিবারে সুখ শান্তি বিরাজ করে। পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছ্বলা বৃদ্ধি পায়।
বৃহস্পতিবার রামনবমী। এই বিশেষ দিনে ভগবান শ্রী রামের পুজোর জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একাধিক যোগ রয়েছে। রাম নবমী তিথিতেই পড়ছে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগয। যা পুজো বা অন্যান্য শুভকাজের জন্য বিশেষ বলে মনে করা হিন্দু শাস্ত্র মতে। তবে রামনবমী তিথিতে ভগবান শ্রী রামের পুজোর জন্য বিশেষ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। যা পালন করলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। জ্য়োতিষ মতে মনে করা হয় এই সময় বিধি মেনে প্রভু শ্রীরামের পুজো করলে পরিবারে সুখ শান্তি বিরাজ করে। পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছ্বলা বৃদ্ধি পায়। সম্পত্তি লাভ হয়।
রাম নবমীতে বিধি মেনে যদি রামের পুজো করা হয় তাহলে আশীর্বাদ করেন দেবীলক্ষ্মী। কারণ প্রভু শ্রী রাম বিষ্ণুর অবতার। আর লক্ষ্মী দেবী বিষ্ণুর স্ত্রী। তাই তিনি ভক্তদের শান্তি আর আর্থিক সমৃদ্ধির আশীর্বাদ করেন। হিন্দু মতে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদে এই সময় ভরে ওঠে ঘর। সুখ আর সমৃদ্ধির সঙ্গে অর্থ ও সম্পত্তিও লাভও হয়।
জানুন শ্রী রামের পুজো করার নিয়মঃ
১. শুভ সময় ভাগবান শ্রীরামকে কেশর বা জাফরান মেশানো দুধ দিয়ে অভিষেক করাতে হবে।
২. একটি পাত্রে গঙ্গাজল নিয়ে তার সামনে রামরক্ষা সূত্র ওম শ্রী হ্রী ক্নীন রামচন্দ্রায় শ্রী নমঃ এই মন্ত্রটি ১০৮বার জপ করতে হবে। পরে ভগবানের স্নানের জল গোটা বাড়িটে ছিয়ে দিলে বাস্তু দোষ দূর হবে।
৩. রামচরিত মানসস সম্পূর্ণ বা সুন্দরকাণ্ড পাছ করতে হবে। তাতেই আসবে সুখা র সমৃদ্ধি। ভগবানের কৃপা পাবেন আপনিষ
রামনবমীতে এই ব্যবস্থাগুলি নিলে উপযুক্ত ফল পাবেনঃ
রামরক্ষা স্ত্রোতামঃ
এটি পাঠ করলে আশপাশের পরিবেশ নিরাপদ পদ হয়।
অযোধ্যা কাণ্ডঃ
অযোধ্যাকাণ্ড পাঠ করলে যাদের সন্তান হয়নি তাঁরা সন্তান লাভ করতে পারেন। হিন্দুশাস্ত্র এটি খুবই ফলদায়ক বলে মনে করা হয়।
শ্রীরাম কথাঃ
শ্রীরাম কথা পাঠ করলে পারিবারিক শত্রুতার অবসান হয়।
শ্রীরাম স্তূতিঃ
এটি পাঠ করলেন পারিবারের আর্থিক সংকট দূর। পরিবারের সদস্যদের আর্থ লাভও হতে পারে ।