সামনেই বিজয়া দশমী, ভুল করেও নিজের বাড়ি থেকে এই জিনিসগুলি কাউকে দেবেন না
উৎসবের দিনে দান করার আগে একটু ভাবুন। কারণ.. না জেনে.. যা খুশি তাই.. দান করা উচিত নয়। দান করা আসলে পুণ্যের কাজ কিন্তু.. যা তা করা উচিত নয়।কি ধরণের জিনিস দান করা উচিত নয়.. এবার জেনে নেওয়া যাক....
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে দুর্গাপূজার পরে বিজয়া দশমী উদযাপন করা হয়। সীতাদেবীকে অপহরণকারী রাবণকে রাম এই দিনেই মেরেছিলেন।
সেই দিন থেকে আমরা সকলেই এই বিজয়া দশমী উৎসব পালন করে আসছি। এই উৎসবে লোকেরা.. মন্দিরে গিয়ে.. দেবতার দর্শন করেন।
শুধু তাই নয়... অস্ত্র পূজাও করেন। অস্ত্র পূজা করা মানে... অশুভ শক্তির ধ্বংস হোক। তবে... উৎসব বলেই অনেক এই দিনে অনেক দান করেন।
কিন্তু.. উৎসবের দিনে দান করার আগে একটু ভাবুন। কারণ.. না জেনে.. যা খুশি তাই.. দান করা উচিত নয়। দান করা আসলে পুণ্যের কাজ কিন্তু.. যা তা করা উচিত নয়।কি ধরণের জিনিস দান করা উচিত নয়.. এবার জেনে নেওয়া যাক....
১.চামড়ার জিনিস... হিন্দু ধর্মে প্রাণীদের খুবই পবিত্র বলে মনে করা হয়। চামড়ার জিনিসগুলি প্রাণীদের চামড়া থেকে তৈরি করা হয়। তাই.. সেগুলো দান করা.. প্রাণীদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন বলে বিবেচিত হয়। তাই.. দশমীর মতো পবিত্র উৎসবে চামড়ার জিনিস দান করা.. অপবিত্র বলে বিবেচিত হয়। তাই.. এই ধরণের জিনিস দান করা উচিত নয়।
২.ধারালো জিনিস..
ধারালো জিনিস দান করলে ঘরে অশান্তি, উত্তেজনা , মতবিরোধ তৈরি হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এই জিনিসগুলি নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়। ধারালো জিনিস দান করলে ঘরে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
এই জিনিসগুলি লক্ষ্মীদেবীর রাগ ডেকে আনে। ধনসম্পদ ঘর থেকে চলে যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। ধারালো জিনিসগুলিকে অশুভ বলে মনে করা হয়। এগুলো দান করা বা গ্রহণ করা অশুভ বলে মনে করা হয়। এতে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে।
৩.হলুদ দান...
হলুদ বৃহস্পতির সাথে সম্পর্কিত। সন্ধ্যায় হলুদ দান করলে বৃহস্পতি গ্রহ দুর্বল হয়ে যায়, যা ব্যক্তির জীবনকে প্রভাবিত করে বলে বিশ্বাস করা হয়। সন্ধ্যায় হলুদ দান করলে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে। ঘরে সমস্যা তৈরি করে। হলুদকে শুভ বলে মনে করা হয়, কিন্তু সন্ধ্যায় দান করা অশুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়।