Makar Sankranti 2024: কেন মকর সংক্রান্তির দিনেই নিজের প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন ভীষ্ম

Published : Jan 10, 2024, 02:03 PM IST
Pitamah Bhishma

সংক্ষিপ্ত

বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেন তিনি মোক্ষ লাভ করেন। এই কারণেই, ভীষ্ম পিতামহ তাঁর জীবন উৎসর্গ করার জন্য সূর্যের উত্তরায়ণের অপেক্ষায় ছিলেন। 

মকর সংক্রান্তি হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে পালিত হয় মকর সংক্রান্তি। এটি কর্ণাটকে সংক্রান্তি, তামিলনাড়ু ও কেরালায় পোঙ্গল, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় মাঘি, গুজরাট ও রাজস্থানে উত্তরায়ণ, উত্তরাখণ্ডে উত্তরায়ণী, উত্তর প্রদেশ ও বিহারে খিচড়ি ইত্যাদি নামেও পরিচিত। এই বছর, মকর সংক্রান্তির উত্সব ১৫ জানুয়ারী ২০২৪ সারা দেশে উদযাপিত হবে। শাস্ত্র মতে মকর সংক্রান্তির দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।

জ্যোতিষশাস্ত্রে 'সংক্রান্তি'-এর অর্থ ব্যাখ্যা করা হয়েছে সূর্য বা কোনও গ্রহের এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে প্রবেশের মাধ্যমে। মকর সংক্রান্তির দিন সূর্য উত্তর দিকে গমন করে ধনু রাশি ছেড়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করে, তাই একে উত্তরায়ণও বলা হয়। এই উত্তরায়ণের দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনটি দান ও পূজার জন্য অত্যন্ত শুভ। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেন তিনি মোক্ষ লাভ করেন। এই কারণেই, ভীষ্ম পিতামহ তাঁর জীবন উৎসর্গ করার জন্য সূর্যের উত্তরায়ণের অপেক্ষায় ছিলেন।

কেন ভীষ্ম উত্তরায়ণে প্রাণ উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন-

মহাভারতের যুদ্ধে কৌরবদের পক্ষে যুদ্ধ করে অর্জুনের তীরে আহত হয়ে ভীষ্ম শরশয্যায় শায়িত ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন তীরের আঘাতে আহত হন, তখন সূর্য দক্ষিণায়নে। শাস্ত্র মতে উত্তরায়ণে যাঁরা আত্মাহুতি দেন, তাঁরা মোক্ষ লাভ করেন এবং জীবন-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পান। এই কারণেই ভীষ্ম পিতামহ তাঁর জীবন উৎসর্গ করার জন্য সূর্যের উত্তরায়ণের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।

প্রকৃতপক্ষে ভীষ্ম পিতামহ মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষায় আশীর্বাদপ্রাপ্ত ছিলেন, তিনি যখনই চান নিজের জীবন ত্যাগ করতে পারেন। ইচ্ছামৃত্যুর অধিকারী ছিলেন তিনি। ভীষ্ম পিতামহ অর্জুনের বাণে আহত হন। তীর বিদ্ধ হয়েও তিনি মৃত্যুর অপেক্ষায় ছিলেন। ছয় মাস ধরে তিনি শরশয্যায় ছিলেন এবং শেষ জীবনের প্রতিটি নিঃশ্বাসে কষ্ট করেছেন তিনি দক্ষিণায়ন থেকে উত্তরায়ণে যাওয়ার জন্য সূর্যের অপেক্ষায় ছিলেন।

এই সময় পাঁচ পাণ্ডবের দিকে তাকিয়ে তিনি জীবনের শেষ উপদেশও দেন এবং জগতের কল্যাণের জন্য বরও চান। এরপর যখন সূর্যের রাশির পরিবর্তন হয় (সূর্যের ধনু থেকে মকর রাশিতে পরিবর্তন), তখন ভীষ্ম পিতামহ আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন এবং তাঁর জীবন দেবলোকের পথে চলে যায়।

এই কারণেই মহাভারতের শেষ অধ্যায়ের এই পর্বটি, যেখানে ভীষ্ম পিতামহের আত্মত্যাগের কথা বলা হয়েছে, প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যে এটি একটি শুভ প্রতীক হয়ে উঠেছে এবং এই কারণেই মকর সংক্রান্তি অর্থাৎ উত্তরায়ণের দিনটি উৎসব হিসেবে পালিত হয়। নবচেতন হিসাবেও পালিত হয়

মকর সংক্রান্তি সম্পর্কিত পৌরাণিক তথ্য-

মহাভারতের যুগে ভীষ্ম পিতামহ দেহত্যাগের জন্য মকর সংক্রান্তির দিনটিকে বেছে নিয়েছিলেন। মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গা ভগীরথকে অনুসরণ করে সাগরে কপিল মুনির আশ্রমে মিলিত হন এবং মহারাজ ভগীরথের পূর্বপুরুষরা এভাবে মোক্ষ লাভ করেন। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তির দিনে গঙ্গাসাগরে মেলা বসে।

মকর সংক্রান্তির দিন সূর্য তার অসন্তুষ্টি ভুলে ছেলে শনিদেবের বাড়িতে যান। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মকর সংক্রান্তিতে পবিত্র নদীতে স্নান, দান ও পূজা করলে পুণ্যের প্রভাব হাজার গুণ বৃদ্ধি পায়। মকর সংক্রান্তির দিন থেকে এমনকি মলামাসের সমাপ্তি ও শুভকাজ শুরু হয়।

PREV
click me!

Recommended Stories

Durga Puja 2025: সঙ্ঘাতির 'দ্বৈত দুর্গা' থিমে বাংলার দুর্গা এবং শেরাওয়ালি মাতা, বিষয়টা ঠিক কী?
Durga Puja 2025: দুর্গাপুজোয় চাঙ্গা রাজ্যের অর্থনীতি? ১০-১৫% বৃদ্ধির সম্ভাবনা, আনুমানিক ৪৬,০০০-৫০,০০০ কোটি টাকা