ছোট গোপাল থাকলে এই নিয়ম মানলেই মনের সব ইচ্ছাপূরণ করবে স্বয়ং নারায়ন! সুখী হবেন আপনি

ছোট গোপালকে স্নান করানোর সময় মনে করে এক জায়গায় বসে স্নান করানো উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। স্নানের পর পঞ্চামৃত এবং চরণামৃত অবশ্যই প্রসাদ হিসেবে অনান্য ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত। 

লাড্ডু গোপাল অর্থ্যাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু রূপ হিন্দুধর্মে একটি বিশেষ বর্ননা রয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু রূপ হিসেবে তাকে পুজো করেন ভক্তরা।

লাড্ডু গোপালের পুজো এবং তাঁর সেবা অত্যন্ত ভক্তি ও বিশ্বাসের সঙ্গে করা হয় কারণ এতেই খুশি হন স্বয়ং ভগবান।

হিন্দুশাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ছোট গোপালকে স্নান করানোর সময় কিছু বিশেষ প্রথা মানলে তিনি প্রসন্ন হন । গৃহে সুখ ও সমৃদ্ধি ফেরে। নারায়নের কৃপায় ঘরে ঐশ্বর্যে ভরে ওঠে। মনের বাসনা পূরণ হয়।

পঞ্চামৃত স্নান:

করানোর সময় প্রথমে শুদ্ধ মন ও চিন্তা নিয়ে শুরু করতে হয় লাড্ডু গোপালের স্নান পর্ব । অনেকেই বলে থাকেন, প্রথমে বিশুদ্ধ জল দিয়ে স্নান করাতে হয় মূর্তিকে।

যা পরিচিত 'চরণামৃত' নামেও। এরপর গোলাপ জল, দুধ এবং মধু ব্যবহার করা উচিত বলে অনেকেই মনে করেন। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে বলা হয় পঞ্চামৃত স্নান । এভাবে স্নান পর্ব সারলে ঈশ্বরের কৃপা দৃষ্টি মেলে বলে মনে করেন বহু কৃষ্ণপ্রেমী।

পোশাক ও তিলক:

স্নানের পর লাড্ডু গোপালকে অবশ্যই নরম ও পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছিয়ে দিতে হবে। পরাতে হবে নতুন বস্ত্র । এরপর লাড্ডু গোপালকে চন্দনের তিলক লাগিয়ে এবং ফুলের মালা পরিয়ে দিলে ঈশ্বর খুশি হন।

ভোজন ও আরতি:

স্নানের পর গোপালকে ভোগ নিবেদন করতে হবে। এই ভোগ নিবেদনে ফল, শুকনো ফল এবং সাদা প্রিয় মিষ্টি দেওয়া যেতে পারে।

এরপর ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে মন শান্ত রেখে আরতি করা উচিৎ । গোপালকে পুজোর সময় মনে মনে তাঁকে স্মরণ করা এবং মন্ত্র জপ করা দরকার । এতে করে ঈশ্বরের আশীর্বাদ সর্বদা ভক্তের উপর থাকে, সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে গৃহ।

ধর্মশাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, ছোট গোপালকে অবশ্যই উচিত বিশুদ্ধ জল দিয়ে স্নান করানো ।বিশুদ্ধ জলের পর তাঁকে স্নান করানো উচিত পঞ্চামৃত দিয়ে , যার মধ্যে মূল উপকরণ হিসেবে থাকবে দুধ, দই এবং মধু ।

ছোট গোপালকে স্নান করানোর সময় মনে করে এক জায়গায় বসে স্নান করানো উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। স্নানের পর পঞ্চামৃত এবং চরণামৃত অবশ্যই প্রসাদ হিসেবে অনান্য ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত।

এমনকি গরু বা বাছুরকে খাওয়াতে পারেন। কিম্বা বেশি পরিমানে থাকলে পিপল বা বট গাছের গোড়ায় উৎসর্গ করা উচিত বলে মনে করেন অনেকেই।

ছোট গোপালের পুজোর উপকারিতা:

গৃহে সর্বদা বজায় থাকে ইতিবাচক শক্তি । ভগবানের ইচ্ছেয় মনবাসনা পূরণ হয় এবং সংসারে উটকো ঝামেলা দূর হয়। পরিবারে সুখ, সমৃদ্ধির পাশাপাশি প্রত্যেক সদস্যের উন্নতির অগ্রগতি বজায় থাকে।

জীবনে প্রেম ও শান্তি বজায় থাকে। নিয়ম মেনে লাড্ডু গোপালের সেবা করলে তাঁর কৃপা সর্বদা আপনার উপর বজায় থাকবে এবং আপনার ঘরে আনন্দের আবহ তৈরি হবে।

এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র তথ্য ভিত্তিক। এশিয়ানেট নিউজ বাংলা এর কোনও তথ্য নিশ্চিত করে না।