অলিম্পিকে ভারতের সাফল্য থাবা বসাল ক্রিকেটের একাধিপত্যে, সন্তানদের নীরজ-চানু বানাতেও উৎসাহী অভিভাবকরা

টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় দলের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ দেশবাসী। ক্রিকেটের বাইরে ৭১ শতাংশ অভিভাবকরা অন্যান্য স্পোর্টসকে সন্তানদের কেরিয়া হিসেবে বেছে নিতে সাপোর্ট করছে।

Sudip Paul | Published : Aug 10, 2021 1:24 PM IST

ভারতে ক্রিকেটকেই প্রধান খেলার মান্যতা দেওয়া হয়। আর্থিক প্রতিপত্তি থেকে নাম-জশ-গ্ল্যামার ক্রিকেটের ব্যাপারটাই যে আলাদা। ভারতে ক্রিকেট ব্যতীত অন্যান্য খেলাধুলা শুধুমাত্র অলিম্পিকের মতো ক্রীড়া ইভেন্টের সময় স্বীকৃতি পায়। দেশজুড়ে হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্বমানের ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ক্রিকেট ছাড়া অন্য খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেয়। বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত পিতামাতা তাদের সন্তানদের ক্রিকেটের বাইরে অন্য খেলাকে কেরিয়ার হিসেবে মেনে  নিতে অনীহা প্রকাশ করে। অভিভাবকদের ভাবনা ক্রিকেট ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে নিয়মিত উপার্জন এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রদান করে না অন্যান্য খেলা। 

২০২১ অলিম্পিকে ভারতের সাফল্য এদেশের অভিভাবকদের চিন্তা-ভাবনার অনেকটাই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। নীরজ চোপড়ার সোনা জয়, মীরাবাঈ চানু, রবি কুমারদের রূপো জয় ও ভারতীয় পুরুষ হকি দল, লভলিনা বরোগাহাঁই, বজরং পুনিয়া, পিভি সিন্ধুদের ব্রোঞ্জ জয় ক্রিকেটের বাইরে অন্যান্য স্পোর্টসকে ছেলে মেয়েদের কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করেছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে 'লোকাল সার্কেল'-এর করা সমীক্ষায়। দেশের ১৮ হাজার মানুষের স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়েছিল এই সমীক্ষায়। সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে নীরজ-চানুদের সাফল্য দেখে ৭১ শতাংশ মানুষ ক্রিকেট বাইরেও তাদের সন্তানকে অন্যান্য খেলাকে কেরিয়ার হিসেবে মেনে নেবেন। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকের সময় এই সংখ্যাটা ছিল ৪০ শতাংশ। টোকিও অলিম্পিকে সেটা ৭১ শতাংশে পৌছানোয় বিষয়টিকে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃকোটি কোটি মেয়ের রাতের ঘুম কেড়েছেন নীরজ, কিন্তু সোনা জয়ীর মন জয় করেছে কে

আরও পড়ুনঃএবার থেকে ৭ অগাস্ট 'জ্যাভলিন থ্রো ডে', নীরজকে অনন্য সম্মান অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের

আরও পড়ুনঃ'এই মুহূর্ত তোমার, উপভোগ কর', অনুজ নীরজকে বার্তা অগ্রজ বিন্দ্রার

ক্রিকেট বা ফুটবল বিশ্বকাপ, অথবা ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলা দেশ জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়। কিন্তু অলিম্পিকের খেলা দেশের কত শতাংশ মানুষ দেখেন সেই  বিষয়টিও এই সমীক্ষায় জানতে চাওয়া হয়। স্যাম্পেল রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৫১ শতাংশ মানুষ টোকিও অলিম্পিকে ভারতের খেলা দেখেছেন। রিও-তে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। ফলে এই দুটি সমীক্ষার ফল অনেকটা স্পষ্ট করেছে যে ক্রিকেট, ফুটবলের বাইরে অন্যান্য খেলার প্রতিও আকর্ষণ বাড়ছে দেশবাসীর। নবীন প্রজন্মরা এগিয়ে আসছেন অন্যান্য খেলায়। ফলে এই ট্রেন্ড বজায় থাকলে ভবিষ্যতে তা আখেরে লাভ দেবে দেশের সাফল্যে।

Share this article
click me!