খেলার বাইরে টোকিও অলিম্পিক্সে ঘটেছে একাধিক ঘটনা যা চিরকাল অমলিন হয়ে থেকে যাবে কিছু ব্যক্তির মনে। তেমনই একজন হলের জামাইকার অ্যাথলিট হ্যানসলে পার্চমেন্ট। এক স্বেচ্ছা সেবিকা না থাকলে সোনা জেতা হত না তার।
শেষ হয়ে গিয়েছে টোকিও অলিম্পিক্স। তবে রয়ে গিয়েছে রেশ। করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে যাওয়া তারপরও কোভিড আবহে অলিম্পিকের আয়োজন করা, বহু বাঁধা অতিক্রিম করে যেভাবে সাফল্যের সঙ্গে টোকিওতে আয়োজিত হল সামার গেমস তা কোনও চিত্রনাট্যের থেকে কম নয়। এবারের মত অলিম্পিক্স শেষ হলেও, এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যা চির অমলিন থেকে যাবে। ঠিক তেমনই টোকিওতে এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী রয়ে গেলেন জামাইকান অ্যাখলিট হ্যানসলে পার্চমেন্ট।
১১০ মিটার হার্ডেলস ১৩.০৪ সেকেন্ডে শেষ করে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন হ্যানসলে পার্চমেন্ট। জিতেছেন সোনার পদক। কিন্তু টোকিওতে এক স্বেচ্ছা সেবিকা না থাকলে সোনা জয় তো দুরস্থ, ফাইনালে অংশ গ্রহণ করা পর্যন্ত হত না হ্যানসলের। সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যানসেল জানিয়েছেন,৫ অগস্ট অলিম্পিক্স-এ হার্ডেলস-এর ফাইনাল দিন। ভুল করে অন্য স্টেডিয়ামের বাসে উঠে পড়েছিলেন হ্যানসেল। বেশ কিছুটা দূরে গিয়ে বুঝতে পারেন তিনি। তড়িঘড়ি বাস থেকে নেমে পড়লেও, সেখান থেকে হার্ডেলসের ইভেন্ট যেখানে আয়োজিত হচ্ছে তার দূরত্ব অনেকটাই। খেলার জন্য রেডি হয়ে বেরোনোয় পকেটে টাকাও নেই। সাময়ীকভাবে মনে হয়েঠিল ফাইনালে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না তিনি। সেই সময় বিষয়টি বুঝতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন অলিম্পিকের এক স্বেচ্ছাসেবী। ট্যাক্সি ডেকে ভাড়া দিয়ে হ্যানসেলকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছতে সাহায্য করেন ওই স্বেচ্ছাসেবী। তারপরই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সোনা জেতেন হ্যানসলে।
যদিও সোনা জয়ের পর সেই তরুণীকে ভুলে যাননি হ্যানসলে পার্চমেন্ট। সেই তরুণীকে খুঁজতে সেই জায়গায় যান তিনি। তাকে খুঁজে বার করে ধন্যবাদ জানান হ্যানসলে। জানতে পারেন তার নাম ত্রিজানা তকোভিচ। তাকে হ্যানসলে দেখান সোনার পদকও। খুশি হন ওই স্বেচ্ছাসেবিকা। উপহার স্বরূপ তাকে একটি টি শার্টও উপহার দেন হ্যানসলে। সঙ্গে সেদিনের ট্যাক্সি ভাড়াও ফিরিয়ে দেন। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হ্যানসেল। ওই তরুণীকে জামইকা যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন জামাইকার পর্যটন মন্ত্রী। ফলে অলিম্পিক বা বিশ্বমানের কোনও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় শুধু খেলাই নয়, খেলার বাইরেও ঘটে এমন অনেক ঘটনা যা সারা জীবন থেকে যায় স্মৃতিকথা হয়ে।