
শেষ হয়েছে কমনওয়েলথ গেমস ২০২২। এবারের গেমসে ভারতীয় দল মোট ৬১ টি পদক পেয়েছে। মোট ২২টি সোনা, ১৬টি রুপো ও ২৩টি ব্রোঞ্জ রয়েছে ভারতের ঝুলিতে। পদক তালিকাতে চতুর্থ স্থানে শেষ করেছে ভারতীয় দল। আর এই পদক তালিকায় রয়েছেন বাংলার দুই কৃতি সন্তান। যারা বার্মিংহ্যানে রাজ্য তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। একজন অচিন্ত্য শেউলি। ভারোত্তোলনের ৭৩ কেজি বিভাগে সোনা জেতেন বাংলার ছেলে। অপরজন হলেন সৌরভ ঘোষাল। তিনি এমন একটি খেলায় বাংলা তথা দেশকে গর্বিত করেছেন, যে খেলার সঙ্গে অনেকেই খুব কম পরিচিত। স্কোয়াশে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। পদক জয়ের পর শুভেচ্ছার জোয়ারে ভেসেছিলেন দুজনই। এবার এই দুই কৃতির পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার।
বুধবার মোহনবাগান ক্লাবের নব নির্মিত টেন্টের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে একাধিক বিষয় ও বাংলার খেলাধুলো নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়েই উঠে আসে অচিন্ত্য শেউলি ও সৌরভ ঘোষালের প্রসঙ্গ। তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,কমনওয়েলথ গেমসে দেশকে পদক এনে দেওয়া বাংলার দুই অ্যাথলিটকেই আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে। ভারোত্তোলনে সোনা জয়ী অচিন্ত্য শিউলিকে দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা। আর স্কোয়াশে ব্রোঞ্জজয়ী সৌরভ ঘোষালকে দেওয়া হবে দু’লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে এই দু’জন অ্যাথলিটকেই দেওয়া হবে সরকারি চাকরি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামি ১৬ অগাস্ট খেলা দিবসের দিন অচিন্ত্য শেউলি ও সৌরভ ঘোষালকে সম্মানিত করা হবে।
এদিন মোহনবাগান ক্লাবের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'মোহনবাগানের কথা মনে পড়লে প্রথম আমার মায়ের কথা মনে পড়ে। একবার পেলে এসেছিলেন। বিদেশ গোল করেছিল। উথালপাথাল হয়েছিল বাংলা। আর মা পুজো পাঠাচ্ছে কালীবাড়িতে। মোহনবাগানের খেলা থাকলেই মা পুজো পাঠাত।' এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মোহনবাগানের অনুষ্ঠানে আসব বলে সবুজ-মেরুন শাড়ি পড়লাম। আমার কাছে লাল-হলুদ শাড়ি নেই। ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠানে লাল-হলুদ শাড়ি বানিয়ে নেব। আমার দাদা ইস্টবেঙ্গলে, আমার ভাই মোহনবাগানে। মহামেডানে কেউ নেই। আমি আছি। ছোটো ছোটো যে ক্লাবগুলোর কেউ নেই, তাদের জন্য আমি আছি। খেলা হবে কথাটা কেন বলেছিলাম জানেন? কারণ জীবনটাই তো খেলা।' এরপরই আনন্দের মুহূর্তে মোহনবাগান ক্লাবের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার অনুদানের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা শুনে করতালিতে ভরে ওঠে মোহনবাগান তাবু।