ভারতীয় ক্রিকেট দল শেষবার আইসিসি টুর্নামেন্ট জিতেছিল ঠিক এক দশক আগে। তারপর থেকে একাধিকবার আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল, সেমি-ফাইনালে হেরে গিয়েছে ভারত। চূড়ান্ত সাফল্য আসছে না।
সাফল্যের এক দশক পূর্তি। একইসঙ্গে আবার ব্যর্থতার এক দশক। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় ভারতীয় ক্রিকেটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, সেটাই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দলের শেষ বড় সাফল্য। ২০১৩ সালের ২৩ জুন টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে ভারত। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত আর কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি ভারতীয় দল। ধোনির পর অধিনায়ক হয়েছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু তিনি দলকে আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতাতে পারেননি। বিরাটের পর ভারতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছেন রোহিত শর্মা। তাঁর পক্ষেও দলকে আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতানো সম্ভব হয়নি। বিরাট ও রোহিতের নেতৃত্বে চূড়ান্ত সাফল্যের কাছাকাছি গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। অক্টোবর-নভেম্বরে দেশের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্ট ভারতীয় দলের কাছে বড় পরীক্ষা। ওডিআই বিশ্বকাপ জিততে না পারলে রোহিতের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন জোরদার হবে।
এক দশক আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল হয়েছিল বার্মিংহ্যামে। বৃষ্টির জন্য সেই ম্যাচে ওভার সংখ্যা কমিয়ে করতে হয় ২০। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যালেস্টেয়ার কুক। ভারতীয় দল একেবারেই ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। ৭ উইকেটে ১২৯ রান হয়। দলের মাত্র ৩ জন ব্যাটার ২ অঙ্কের রান করতে সক্ষম হন। ওপেনার শিখর ধাওয়ান করেন ৩১ রান। বিরাট কোহলি করেন সর্বাধিক ৪৩ রান। রবীন্দ্র জাদেজা ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। রোহিত শর্মা ৯, দীনেশ কার্তিক ৬, সুরেশ রায়না ১, ধোনি ০, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১ ও ভুবনেশ্বর কুমার ১ রান করেন। ১৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৬৬ রান করে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেই পরিস্থিতিতে বিরাট ও জাদেজার জুটিতে ৪৭ রান দলের স্কোর ১০০ পেরোতে সাহায্য করে। ইংল্যান্ডের হয়ে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রবি বোপারা। ১ উইকেট করে নেন জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস ট্রেডওয়েল।
২০ ওভারের ম্যাচে ১৩০ রান মোটেই বড় টার্গেট নয়। কিন্তু জাদেজা, অশ্বিন, ইশান্ত শর্মার দাপটে এই রান হাতে নিয়েই জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। ৮ উইকেটে ১২৪ রান করেই থেমে যায় ইংল্যান্ড। ফলে ভারতীয় দল ৫ রানে জয় পায়। জাদেজা, অশ্বিন ও ইশান্ত ২ উইকেট করে নেন। ১ উইকেট নেন উমেশ যাদব। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক ৩৩ রান করেন ইয়ন মর্গ্যান। ৩০ রান করেন বোপারা। ২০ রান করেন জোনাথন ট্রট। ১৩ রান করেন ইয়ান বেল।
আরও পড়ুন-
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডিগবাজি, হাইব্রিড মডেলেই হবে এশিয়া কাপ, বললেন জাকা আশরফ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে পুরুষদের সিনিয়র দলের নির্বাচক চেয়ে বিজ্ঞাপন বিসিসিআই-এর
Virat Kohli: ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও শরীরচর্চা অব্যাহত বিরাট কোহলির