সুপার ফোর পর্যায়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি থাকতেই এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। ফাইনালে কে প্রতিপক্ষ, সেটা বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচের পরেই ঠিক হবে।
মঙ্গলবার কলম্বোর আর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ সুপার ফোর পর্যায়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য সতীর্থ সূর্যকুমার যাদবকে কৃতিত্ব দিলেন কুলদীপ যাদব। তিনি জানিয়েছেন, সূর্যকুমারের পেপ টক তাঁকে আত্মতুষ্টি ঝেড়ে ফেলে ভালো বোলিং করতে সাহায্য করেছে। বিসিসিআই-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি কথোপকথনে সূর্যকুমারকে কুলদীপ বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তুমি পেপটক দিয়েছিলে। তুমি আমাকে বলেছিলে, ম্যাচের রাশ যেন আলগা হতে না দিই। ৫ উইকেট নেওয়ার পর বোলারদের শরীরি ভাষা বদলে যায়। তখন বোলাররা অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়ে যায়। যদিও আত্মবিশ্বাস একইরকম থাকে। বোলারদের ক্ষেত্রে আমি অনেকবার এরকম দেখেছি। তাই তোমার ২ মিনিটের পেপ টক আমাকে খুব সাহায্য করেছে।’
এবারের এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্যায়ে পরপর ২ দিন বোলিং করতে হয়েছে কুলদীপকে। সোমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার পর মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এই চায়নাম্যান স্পিনার। তিনি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। সাদিরা সমরবিক্রমা, চরিত আসালাঙ্কা, কাসুন রঞ্জিতা ও মাথিসা পাথিরানাকে আউট করে দেন কুলদীপ। তিনিই ম্যাচের শেষ ২ উইকেট নেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯ উইকেট নিয়ে নতুন নজির গড়েছেন এই স্পিনার। তিনিই ভারতীয় স্পিনারদের মধ্যে ওডিআই ফর্ম্যাটে দ্রুততম ১৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভালো পারফরম্যান্স দেখান। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধেই অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন কুলদীপ।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে কুলদীপ বলেছেন, 'আমি সেরা পারফরম্যান্স দেখানোর ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলাম আমাদের পরপর ৩ দিন মাঠে নামতে হল। তা সত্ত্বেও ভালো পারফরম্যান্সের ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই সূর্য ভাই।'
সূর্যকুমারের পাশাপাশি অপর এক সতীর্থ কে এল রাহুলকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন কুলদীপ। তিনি বলেছেন, ‘আমি লেংথ বল করে সাফল্য পাচ্ছিলাম না। সব বল অন্যদিকে চলে যাচ্ছিল। সেই কারণে রাহুল ভাই আমাকে অফ-স্টাম্পের বাইর বল রাখার পরামর্শ দেয়। তাঁর পরামর্শ মেনে আমি যখন অফ-স্টাম্পের বাইরে বল রাখা শুরু করি, তখন ইতিবাচক ফল পাই। এক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনা কার্যকর হয়। আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে শাদাব খানের উইকেট নেওয়ার সময়ও একই পরিকল্পনা করে সাফল্য পেয়েছি। অফ-স্টাম্পের বল রেখে স্পিনকে কাজে লাগানোই আমাদের লক্ষ্য ছিল। ফলে রাহুল ভাইকেও কৃতিত্ব দিতে হবে।’
আরও পড়ুন-
Kuldeep Yadav: কীভাবে সাফল্য পাচ্ছেন কুলদীপ যাদব? ব্যাখ্যা অনিল কুম্বলের
India Vs Sri Lanka: স্পিন-অস্ত্রে ঘায়েল শ্রীলঙ্কা, এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারত
পোষ্য সারমেয়কে নিয়ে মেতে জেমাইমা রডরিগেজ, ভিডিও শেয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায়