
কিন্তু তার আগে যে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল, পিচ কেমন হবে? কারণ, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তান। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইতে। সূত্রের খবর, সেখানে একেবারে টাটকা পিচে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলতে নামবেন রোহিত শর্মারা। সেইজন্য আবার আলাদা করে দুটি পিচ তৈরি করা হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং আগামী ২ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে দল। আর এই প্রত্যেকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
উল্লেখ্য, এই স্টেডিয়ামে পরপর একাধিক প্রতিযোগিতা খেলা হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে ছিল মহিলাদের টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ, তারপর পুরুষদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের আসরও সেখানে বসেছিল।
আর আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঠিক আগেই সেখানে খেলা হয়েছে দুবাইয়ের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ আইএলটি-২০। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এতগুলি ম্যাচ খেলা হলেও দুটি পিচ একেবারে আলাদা করে রাখা ছিল। কারণ, ওই দুটি পিচ ব্যবহার করা হয়নি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা মাথায় রেখেই।
এদিকে দুবাইয়ের এই স্টেডিয়ামে মোট ১০টি ম্যাচ স্ট্রিপ রয়েছে। আইএলটি-২০ লিগ পর্বের ম্যাচ চলাকালীন পরিষ্কার নির্দেশ ছিল যে, নির্দিষ্ট দুটি পিচে যেন কোনও ম্যাচই খেলানো না হয়।
তবে টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বে ওই পিচগুলি আদৌ ব্যবহার হয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে অবশ্য দুবাইয়ের ক্রিকেট কর্তাদের সঠিকভাবে অবগত নন। সাধারণত দুবাইয়ের পিচে পেসাররাও সাহায্য পেয়ে থাকেন। তবে টাটকা পিচ পেলে যে তারা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন, সেই কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে হার্দিক পাণ্ডিয়া সহ মাত্র তিনজন পেসার রয়েছে ভারতের। অন্যদিকে, রয়েছেন পাঁচজন স্পিনার।
তবে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পিচে ব্যাটার এবং বোলার, উভয়েই সাহায্য পেয়ে থাকেন। যে সমস্ত স্পিনারদের বলের গতি কিছুটা বেশি, তারাও কিন্তু দারুণ সাফল্য পেতে পারেন এই পিচ থেকে। এখন দেখার বিষয় এটিই যে, শেষপর্যন্ত ভারত মাঠে নেমে কীরকম পারফর্ম করে?
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।