এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচেই ভারতীয় দলের টপ অর্ডার ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও ভারতের ওপেনিং জুটি ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারল না।
বড় খেলোয়াড়রা মুখে সমালোচকদের জবাব দেন না। তাঁদের হয়ে কথা বলে পারফরম্যান্স। বিরাট কোহলিও তেমনই একজন। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে ফাইনালের আগে পর্যন্ত কোনও ম্যাচেই বড় রান পাননি। বিভিন্ন মহল থেকে ধেয়ে আসছিল সমালোচনা। ওপেনিং থেকে সরিয়ে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে পাঠানোর পরামর্শও দিচ্ছিলেন অনেকে। কিন্তু বিরাটের উপর ভরসা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। ফাইনালের আগে অধিনায়ক রোহিত শর্মা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর সঙ্গে বিরাটই ওপেন করবেন। অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা দিলেন বিরাট। ফাইনালে তিনিই দলের সেরা ব্যাটার। দল যখন পরপর উইকেট হারিয়ে বিপদে, তখন অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে পাল্টা লড়াই করলেন বিরাট। তিনি যখন আউট হলেন, ততক্ষণে বিপদ কাটিয়ে উঠেছে দল।
গম্ভীর-ধোনিকে মনে করালেন বিরাট-অক্ষর
২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতীয় দলকে লড়াইয়ে ফেরান গৌতম গম্ভীর ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই ম্যাচে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতে যান ধোনি। ১৩ বছর পর টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত যখন ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে, তখন পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামলেন অক্ষর। তিনি বিরাটের সঙ্গে মিলে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করলেন। এই জুটিতে যোগ হল ৭২ রান। ৩১ বলে ৪৭ রান করে রান আউট হয়ে যান অক্ষর। তিনি যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন, তাতে আরও কয়েক ওভার ক্রিজে থাকলে ভারতীয় দল হয়তো ২০০ রান করতে পারত। বিরাট ৫৯ বলে ৭৬ রান করলেন। অক্ষর যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন বিরাট ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করছিলেন। ৫০ রান পূরণ করার পর প্রথম ওভার-বাউন্ডারি মারলেন বিরাট। ভারতীয় দল টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলে বিরাট-অক্ষর জুটির এই লড়াই কিংবদন্তিতে পরিণত হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট ১৭৭
বিরাট-অক্ষরের অসাধারণ লড়াইয়ের সুবাদে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করল ভারতীয় দল। এবার বল হাতেও ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে হবে অক্ষরকে। ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়া তাঁর উপর অনেকটা নির্ভর করছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
T-20 World Cup: 'বিরাট' জাদুতে 'অক্ষর' রচনা ভারতের, ফাইনালে দুরন্ত লড়াই টিম ইন্ডিয়ার
T20 World Cup Final: 'টি-২০ বিশ্বকাপ জিতবে দক্ষিণ আফ্রিকা,' ৩ মাস আগেই দাবি আইসল্যান্ডের