
IND vs SA Women Final: ম্যাচ জেতানো ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। তৃতীয় বারের চেষ্টায় লরা উলভার্টের ক্যাচটি তালুবন্দি করেন তিনি (india vs south africa world cup final)। সঙ্গে ম্যাচটাও পকেটে চলে আসে ভারতের (india vs south africa world cup)।
রবিবারের ফাইনালে, সেই ক্যাচ দেশের প্রতিটা মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের পরেই অমনজ্যোত কৌরের কাছে এল সেই দুঃসংবাদ। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন, ততক্ষণ কিছুই জানতেন না। বিশ্বজয় করার পর, তিনি জানতে পারেন যে, তাঁর ঠাকুমা ভগবন্তী কৌর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, মহিলাদের একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের মাঝেই হটাৎই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অমনজ্যোতের ঠাকুমা ভগবন্তী কৌর। কিন্তু বাড়ির কেউ তা জানতে বা বুঝতে দেননি তাদের মেয়েকে। কারণ, তিনি যদি বিচলিত হয়ে পড়েন, তাহলে পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে। সেটা কেউই আসলে চাননি।
তাই বাড়ির সকলে মিলে কয়েকদিন ধরে মোহালির হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন। আর এদিকে অমনজ্যোত তখন বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে ব্যস্ত। ২৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার চলতি বিশ্বকাপে মোট ১৪৬ রান করেছেন এবং নিয়েছেন ৬টি উইকেট।
এরপর দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার পর, জানতে পারেন ঠাকুমার অসুস্থতার কথা। এই প্রসঙ্গে তাঁর বাবা ভূপিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘মোহালির ফেজ় ফাইভে আমাদের বাড়ির ঠিক পাশেই একটা পার্ক রয়েছে। সেখানে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলত অমনজ্যোত। প্রায়দিনই ও ঠাকুমার সঙ্গে যেত ক্রিকেট খেলতে। বাড়ির বারান্দা থেকে বা পার্কে বসে নাতনির খেয়াল রাখতেন আমার মা। আর ও ছোট থেকেই ঠাকুমার সঙ্গে থাকতে ভালোবাসে। আমি যখন ব্যবসার কাজে বালোঙ্গি যেতাম, তখন মায়ের কাছেই বেশিরভাগ সময় কাটাত অমনজ্যোত।"
ভূপিন্দরবাবুর কথায়, “গত মাসে, মা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু আমরা কেউ অমনজ্যোতকে কিছু জানাইনি। বাড়ির কেউ আসলে চাইনি যে, বিশ্বকাপের সময় ওর মন ক্রিকেট থেকে কোনওভাবে সরে যাক। মায়ের চিকিৎসার জন্য বিশ্বকাপের সময় বেশ কয়েকদিন আমরা একটু ব্যস্ত ছিলাম। টানা হাসপাতালে যাতায়াত করতে হয়েছে আমাদের। এই কঠিন সময়ে, অমনজ্যোতের বিশ্বকাপ জয় আমাদের ক্ষততে প্রলেপ দিল।"
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।