Sanju Samson: ওডিআই ফর্ম্যাটে প্রথম শতরান, আবেগপ্রবণ সঞ্জু স্যামসন

ভারতীয় দলের হয়ে বারবার খেলার সুযোগ পেয়েও এতদিন প্রতিভার সুবিচার করতে পারেননি সঞ্জু স্যামসন। তবে বৃহস্পতিবার অসাধারণ ব্যাটিং করলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।

পার্লে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে শতরান করে নায়ক হয়ে উঠেছেন সঞ্জু স্যামসন। তাঁর শতরান ভারতীয় দলকে বড় স্কোর করতে সাহায্য করেছে। এই ইনিংসের পর সঞ্জু বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। এখন আমি আবেগঘন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরে আমি খুব খুশি। বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন এর ফল পাচ্ছি দেখে ভালো লাগছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা নতুন বলে খুব ভালো বোলিং করেছে। পুরনো বল মন্থর হয়ে আসছিল। সেই সময় ব্যাটিং করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এই কারণে কে এল (রাহুল) আউট হয়ে যাওয়ার পর ওরা ম্যাচে ফিরে আসে। সেই সময় (কেশব) মহারাজ খুব ভালো বোলিং করছিল। তবে আমি আর তিলক (ভার্মা) উইকেটে টিকে থাকি। শেষদিকে আমরা ভালো ব্যাটিং করি, শট খেলি। আজ আমাদের দলে একজন অতিরিক্ত অলরাউন্ডার আছে। সেটা মাথায় রেখে আমি আর তিলক ঠিক করি, ৪০ ওভারের পর থেকে বড় শট খেলব।’

দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে প্রথম শতরান

২০১৫ সালের জুলাইয়ে ভারতের সিনিয়র দলের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন সঞ্জু। ৮ বছর ৪ মাস পর তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শতরান করলেন। বৃহস্পতিবারের ম্যাচে ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ১১৪ বলে ১০৮ রান করেন সঞ্জু। তিনি ৬টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার-বাউন্ডারি মারেন। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শতরান করে নিজের জাত চেনালেন সঞ্জু। তবে জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ পেতে হলে ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে এই উইকেটকিপার-ব্যাটারকে।

স্বভাবিরুদ্ধ ব্যাটিং সঞ্জুর

আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতেই ভালোবাসেন সঞ্জু। কিন্তু বৃহস্পতিবার পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ব্যাটিং করেন তিনি। পার্লের পিচে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। তবে পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ভালো ব্যাটিং করেন সঞ্জু।