
Lalit Modi: প্রাক্তন আইপিএল কমিশনারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, তিনি বিদেশি বিনিয়োগ টানতে ফেমা আইন লঙ্ঘন করছেন। আর সেই জন্য ললিতকে বিরাট অঙ্কের জরিমানা করেছে ইডি। কিন্তু পলাতক এই ব্যবসায়ীর দাবি, এই জরিমানা মিটিয়ে দিক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
পলাতক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি সহ একাধিক ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার এমনই এক দুর্নীতির মামলায় ললিত মোদীকে গত ২০১৮ সাল থেকে ১০ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় ইডি। এদিকে গত ২০০৯ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল চলাকালীন বিদেশি বিনিয়োগ টানতে ফেমা আইন লঙ্ঘনের মতো অভিযোগও রয়েছে ললিত মোদীর বিরুদ্ধে। তারপর সেই অপরাধেই আইপিএল-এর প্রাক্তন কমিশনারের বিরুদ্ধে জরিমানার নির্দেশ দেয় ইডি।
বিসিসিআই-এর কাছে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য রয়েছে তাঁর। তাই ইডির জরিমানার অর্থ মিটিয়ে দিক বিসিসিআই। এই মর্মে বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়ার দাবিতে এবার বোম্বে হাইকোর্টে একটি মামলা করেন তিনি। কিন্তু এই আর্জি পত্রপাট খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত।
বরং, বোম্বে হাইকোর্ট ললিত মোদীকে জানিয়ে দেয়, ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তিহীন দাবিতে আদালতের সময় নষ্ট করে চলেছেন তিনি। এই ধরনের দুর্নীতির দায় নিতে বিসিসিআই কোনওভাবেই বাধ্য নয়। শুধু তাই নয়, আদালতের সময় নষ্টের অপরাধে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয় তাঁকে।
তবে বোম্বে হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ললিত মোদী এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। বিশেষ লিভ পিটিশনে তিনি দাবি করেছেন, আইন অনুযায়ী বিসিসিআই-এর কাজে থাকাকালীন কোনও পদাধিকারী যদি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন, তাহলে সেই ক্ষতিপূরণের দায় নিতে হবে বোর্ডকেই।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, এক্নটা সময় শ্রীনিবাসনকেও ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল বোর্ড। যদিও সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছে, ললিত মোদি ভারতীয় বোর্ডের কাছে কোনওরকম ক্ষতিপূরণ পান না। তবে নতুন এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কী রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট, সেটাই এখন দেখার।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।