ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বাদ ঋষভ পন্থ এবং শিবম দুবে, শামির প্রত্যাবর্তন?

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় দল ঘোষণা করেছে। ২২ জানুয়ারি থেকে ইংল্যান্ডের সাথে ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। এরপর ওয়ানডে সিরিজও খেলবে। ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ হওয়ার পর ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পা রাখবে। তাই টিম ইন্ডিয়ার জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

টিম ইন্ডিয়ার সিনিয়র তারকা ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ শামি টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রায় ১৩ মাস পরে ভারতীয় ক্রিকেট দলে ফিরে এসেছেন এই তারকা পেসার। এর আগে শামি ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিলেন।

সেই থেকে তিনি চোটের কারণে খেলা থেকে দূরে ছিলেন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে শামি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। সর্বাধিক উইকেট শিকারী খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ভারতের হয়ে ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে শামি ২৪টি উইকেট শিকার করেছেন। 

গোড়ালির চোটের কারণে শামি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় দল থেকে দূরে ছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে আসেন। ৩৪ বছর বয়সী শামি রঞ্জি ট্রফিতে ক্রিকেটে ফিরে আসেন। টি-টোয়েন্টি সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতেও খেলেছেন। সেখানে ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। 

তবে, হাঁটুর ব্যথার জেরে তিনি অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের অংশ হতে পারেননি। ২০২২ সালের নভেম্বরের পর শামি আবার টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন। তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ থেকে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি।

টিম ইন্ডিয়ার তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্তকে বড় ধাক্কা দিয়েছে বিসিসিআই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য তাকে নির্বাচন করা হয়নি। তার চেয়ে ধ্রুব জুরেলকে Vorti দেওয়া হয়েছে।

সঞ্জু স্যামসনের পর তিনি দলের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে নেওয়া হয়েছে। জিতেশ শর্মার জায়গায় জুরেলকে নির্বাচন করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সফরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা নিতিশ কুমার রেড্ডি আবার টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে এসেছেন। রমনদীপ সিংয়ের জায়গায় রেড্ডিকে নির্বাচন করা হয়েছে। আরেক অলরাউন্ডার শিবম দুবেকেও দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

দলে অভিষেক শর্মার সুযোগ হয়েছে। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে তার ভালো শুরু হয়েছিল। এরপর বড় ইনিংস না আসায় তিনি দল থেকে বাদ পড়ার উপক্রম হয়েছিল। তার দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করা অভিষেক টানা সাত ইনিংসে ৫০ রানের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় তার শেষ দুই ইনিংসে ৫০ এবং ৩৬ রান করেছিলেন।  

প্রথম ম্যাচ - ২২ জানুয়ারি - কলকাতা
দ্বিতীয় ম্যাচ - ২৫ জানুয়ারি - চেন্নাই 

চতুর্থ ম্যাচ - ৩১ জানুয়ারি - পুনে 

পঞ্চম ম্যাচ - ২ ফেব্রুয়ারি - মুম্বাই।

সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, নিতিশ কুমার রেড্ডি, মোহাম্মদ শামি, অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা, ধ্রুব জুরেল (উইকেটরক্ষক), রিঙ্কু সিং, হার্দিক পাণ্ড্য, অক্ষর প্যাটেল (সহ-অধিনায়ক), রবি বিষ্ণোই, বরুণ চক্রবর্তী, ওয়াশিংটন সুন্দর।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।