
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হলেই অন্তর্বর্তী কোচ আকিব জাভেদ সহ জাতীয় দলের প্রত্যেক কোচকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত কার্যত নিয়ে ফেলেছেন তারা। তবে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য আরও একটি আশঙ্কার করহা ঘুরপাক খাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল, অর্থাৎ আইসিসি-র একাধিক প্রতিযোগিতাতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার জেরে এবার স্পনসর হারাতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট।
শুধু তাই নয়, জাতীয় দলের কোচদের উপরেও আর আস্থা রাখতে পারছেন না বোর্ড কর্তারা। জাতীয় নির্বাচকদের কাজেও একেবারেই খুশি নন নকভি। বোর্ড অফ গভর্নর্সের সঙ্গে এই বিষয়ে তিনি আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এই খবর প্রকাশ করেছে।
পিসিবির এক কর্তার কথায়, “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমাদের দলের পারফরম্যান্স অত্যন্ত হতাশাজনক। এখনকার কোনও কোচিং স্টাফকেই আর দায়িত্বে রাখা হবে না। লাল বল এবং সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য আলাদা আলাদা কোচ রাখা হবে কি না, তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি।”
তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিদেশি কোচদের নিয়ে আর একেবারেই আগ্রহী নন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একাধিক কর্তা। শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হতে পারে পরবর্তী কোচ। কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে স্পনসরদের ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি। কারণ, মেগা ক্রিকেট প্রতিযোগিতাগুলিতে টানা ব্যর্থতার জেরে হতাশ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিও।
তাই পিসিবি কর্তারা স্পনসর হারানোর আশঙ্কা করছেন। ওই কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘২৯ বছর পর আমরা একটা বড় মাপের প্রতিযোগিতার আয়োজক। অথচ প্রতিযোগিতা শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা ছিটকে গেলাম। নকআউট পর্বের টিকিট বিক্রি প্রত্যাশামতো নাও হতে পারে। আমরা না খেললে তার একটা প্রভাব তো অবশ্যই পড়বে।”
পিসিবি কর্তাদের আশঙ্কা যে একেবারেই অমূলক নয়, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সেই দেশের বিজ্ঞাপন বিশেষজ্ঞ তাহির রেজ়া। তাঁর মতে, “একটা দল বারবার ব্যর্থ হলে মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ, তাতে দলের ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে যায়। আর সেই প্রভাব সরাসরি আঘাত হানে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির স্বার্থে। ফলে, তারা নতুন করে আর বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখায় না।”
তাহির রেজ়ার কথায়, ‘‘পাকিস্তানে ক্রিকেটকে বিক্রি করা আগের মতো এখন অত সহজ নয়। পারফরম্যান্স ভালো না হলে সমর্থক, স্পনসর, বিজ্ঞাপনদাতা এবং সম্প্রচারকারী সংস্থা, সকলেই আগ্রহ হারায়। পাকিস্তান ক্রিকেটে বর্তমানে তেমনই এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।