
Pakistan vs Sri Lanka: ছল-চাতুরি করে বিপক্ষের ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিলেন। ৩০-৩৫ বছর আগে হলে হয়তো সম্ভব হত। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যামেরার ব্যবহার এমনভাবে হয়, চুরি-জোচ্চুরি ধরা পড়ে যেতে বাধ্য। পাকিস্তানের ক্রিকেটার ফকর জামানের (Fakhar Zaman) ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে তাঁর চুরি ধরা পড়ে গিয়েছে। এরপরেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। এর জন্য তাঁর ম্যাচ ফি-র ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি (ICC)। আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করলে আইসিসি আচরণবিধির ২.৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই আইনের ভিত্তিতেই ফকরের জরিমানা করেছে আইসিসি। পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটারই অতীতে শাস্তির মুখে পড়েছেন। এই তালিকায় নবতম সংযোজন ফকর।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ১৯-তম ওভারে আউটফিল্ডে ফিল্ডিং করছিলেন ফকর। তিনি ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা উল্লসিত হয়ে ওঠেন। কিন্তু ক্যাচ ঠিকমতো নেওয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না আম্পায়াররা। এই কারণে তাঁরা তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য চান। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায়, ফকর ক্যাচ নেওয়ার আগেই বল মাটি স্পর্শ করেছিল। ফলে আউট দেওয়া সম্ভব নয়। আম্পায়াররা সে কথা জানাতেই পাকিস্তানিদের আনন্দ ক্ষোভে পরিণত হয়।
পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অশোভন আচরণ করেন ফকর। তিনি আম্পায়ারদের দিকে এগিয়ে গিয়ে তর্ক জুড়ে দেন। বারবার মাথা নেড়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে থাকেন। আম্পায়াররা তাঁকে ফিল্ডিং পজিশনে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সে কথা না শুনে তর্ক করতে থাকেন ফকর। ম্যাচ রেফারি এই আচরণ লক্ষ্য করেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আইসিসি আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য জরিমানার কথা জানানো হয়। ফলে বিড়ম্বনার মুখে পড়ল পাকিস্তান ক্রিকেট।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।