
অনবদ্য ব্যাটিং-এ ভর করে তিনি একের পর এক নজির গড়ে চলেছেন। এটি তাঁর অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট সিরিজ। আর সেই সিরিজের শেষ ম্যাচে আগামী বৃহস্পতিবার, ওভাল টেস্টে খেলতে নামবে ভারত। ইংল্যান্ড সফরে এখনও পর্যন্ত ৭২২ রান করেছেন শুভমান। কোনও একটি টেস্ট সিরিজ়ে সর্বাধিক রান করা ব্যাটরদের তালিকায় এই মুহূর্তে ২৬ নম্বরে রয়েছেন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে তাঁর সামনে আছেন একমাত্র সুনীল গাভাসকার। সেই ১৯৭০-৭১ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চারটি টেস্টে ৭৭৪ রান করেন তিনি। কোনও একটি টেস্ট সিরিজ়ে ভারতীয়দের মধ্যে এটাই সর্বাধিক রান এখনও অবধি।
শুভমানের ঠিক আগেই রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্যারি সোবার্স। ১৯৬৬ সালে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই ৭২২ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি অলরাউন্ডার। পাঁচ ম্যাচের ৮ ইনিংসে ৭২২ রান করেছিলেন তিনি। সেই সিরিজ়ে তিনটি শতরান পেয়েছিলেন সোবার্স। সর্বোচ্চ রান ছিল ১৭৪ এবং গড় ১০৩.১৪। তালিকায় সোবার্সের ঠিক উপরেই ২৩ নম্বরে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জর্জ ফকনার। ১৯১০-১১ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ে ৭৩২ রান করেন তিনি। সেই ২৩ নম্বরেই রয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ডেভিড গাওয়ার। ১৯৮৫ সালে অ্যাশেজ় সিরিজে মোট ৬টি ম্যাচে ৭৩২ রান করেছিলেন তিনি। তাদেরকে টপকে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে শুভমানের কাছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৯৭৮-৭৯ মরশুমে তিনি ৭৩২ রান করেন। ২২ নম্বরে আছেন ইংল্যান্ডের ডানহাতি ব্যাটার হার্বার্ট শাটক্লিফ। ১৯২৪-২৫ মরশুমের অ্যাশেজ় সিরিএ ৭৩৪ রান করেছিলেন তিনি। এরপর ২১ নম্বরে রয়েছেন বর্তমান ইংল্যান্ড দলের ব্যাটার জো রুট। গত ২০২১-২২ মরশুমে ভারতেরই বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ে ৭৩৭ রান করেন রুট। ২০ নম্বরে আছেন গ্রাহাম গুচ। ১৯৯০ সালে মাত্র তিন ম্যাচে ৭৫২ রান করেন ডানহাতি এই ইংরেজ ব্যাটার। ১৯ নম্বরে ইংল্যান্ড ব্যাটার ডেনিস কম্পটন। সেই ১৯৪৭ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ে ৭৫৩ রান করেন তিনি। ১৮ নম্বরে আছেন ডন ব্র্যাডম্যান। ১৯৩৪ সালের অ্যাশেজ় সিরিজে আটটি ইনিংস মিলিয়ে ৭৫৮ রান করেম তিনি। এছাড়া আছেন পাকিস্তানি ব্যাটার মুদস্সর নজ়র। ১৯৮২-৮৩ মরশুমে ভারতের বিরুদ্ধে ৬ ম্যাচের সিরিজ়ে ৭৬১ রান করেছিলেন তিনি। ১৬ নম্বরে রয়েছেন কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালে, ৭৬৫ রান করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এদের সবাইকে টপকে যেতে পারেন শুভমান।
ইংল্যান্ড ওপেনার ২০১০-১১ মরশুমের অ্যাশেজ়ে করেছিলেন ৭৬৬ রান। ২০১৪-১৫ মরশুমের বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে চার ম্যাচে ৭৬৯ রান করেছিলেন তিনি। ২৩ নম্বরের পর ১২ নম্বরেও রয়েছেন ভারতের সুনীল গাভাসকার। সেই ১৯৭০-৭১ মরশুমে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৪ ম্যাচে ৭৭৪ রান করেন তিনি। ১২ নম্বরেই রয়েছেন স্টিভ স্মিথও। অ্যাশেজ়ে চার ম্যাচে ৭৭৪ রান করেছিলেন তিনি। স্মিথের আগে রয়েছেন এভার্টন উইক্স। ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৪৮-৪৯ মরশুমে মাত্র সাতটি ইনিংসে ৭৭৯ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। ১০ নম্বরে আবার ব্রায়ান লারা। ১৯৯৩-৯৪ সালে, উইজ়ডেন ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আটটি ইনিংসে ৭৯৮ রান করেছিলেন তিনি। এরপর আবার আছেন সেই ডন ব্র্যাডম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৮০৬ এবং ৮১০ রান করেন এই কিংবদন্তি। সাত নম্বরে রয়েছেন গ্যারি সোবার্স।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আট ইনিংসে ৮২৪ রান করেন তিনি। ঠিক ৬ নম্বরে রয়েছেন ক্যারিবিয়ান উইকেটকিপার-ব্যাটার ক্লিড ওয়ালকট। ১৯৫৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮২৭ রান করেছিলেন তিনি।
স্মানের দুটি ইনিংসে বড় রান পেলে টপকে যেতে পারেন শুভমান গিল।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৭৬ সালের উইজ়ডেন ট্রফিতে মাত্র সাতটি ইনিংস খেলে ৮২৯ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এছাড়া চার নম্বরে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নিল হার্ভে। গত ১৯৫২-৫৩ মরশুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ে ৮৩৪ রান করেছিলেন এই অজি ব্যাটার। তিন নম্বরে আছেন অস্ট্রেলিয়ান মার্ক টেলর। গত ১৯৮৯ সালে, ৬ অ্যাশেজ় সিরিজে ১১টি ইনিংসে ৮৩৯ রান করেন তিনি। এরপর দু’নম্বরে রয়েছেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াল্টার হ্যামন্ড। সেই ১৯২৮-২৯ মরশুমের অ্যাশেজ় সিরিজে ৯০৫ রান করেছিলেন তিনি। এক নম্বরে আছেন সেই ডন ব্র্যাডম্যান। ১৯৩০ সালের অ্যাশেজ় সিরিজে, মাত্র সাতটি ইনিংসে ৯৭৪ রান করেছিলেন সর্বকালের এই সেরা ব্যাটার।
শুভমান কি তাদের টপকে যেতে পারবেন?
অর্থাৎ, এক নম্বরে থাকা ডন ব্র্যাডম্যানের থেকে ২৫২ রানে পিছিয়ে আছেন এই তরুণ ভারতীয় ব্যাটার।
তাহলে টপকে যেতে পারেন অনেককেই।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।