
Bangladeshi Hindu Families: বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হন। আইএসএল (Indian Super League) নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার পরেও ভারতীয় ফুটবলের সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন নিয়েও সরব হলেন সৌভিক চক্রবর্তী। তাঁর ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal Club) কর্তারা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও, এই মিডফিল্ডার সরাসরি নিজের মত প্রকাশ করলেন। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের হিন্দু পরিবারগুলির সুরক্ষা, শ্রদ্ধা ও সমানাধিকার প্রাপ্য। কারও প্রার্থনা করতে, বেঁচে থাকতে বা কথা বলতে ভয় পাওয়া উচিত নয়। সবাই এগিয়ে আসুন, সত্যিটা তুলে ধরুন এবং সত্যিকারের নিরাপত্তার দাবি জানান। ন্যায়বিচার নীরব আছে দেখে আঘাত পাচ্ছি। এখন না হলে আর কখনও হবে না।’
শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ক্ষমতায় থাকাকালীনই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অনেকবার অত্যাচার চালানো হয়েছে। জোর করে হিন্দুদের বাড়ি-জমি দখল করে নেওয়া, হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা, হিন্দু মেয়েদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানো বা জোর করে বিয়ে করা, ধর্মীয় অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ করে হিন্দু যুবকদের মারধরের মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন হাসিনা। ২০২১ সালে দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশে মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থের অবমাননার সাজানো অভিযোগ ঘিরে হিন্দুদের উপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছিল, তা থামানোর জন্য ব্যবস্থা নেননি হাসিনা। তিনি ক্ষমতা হারানোর পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। আওয়ামি লিগের (Awami League) নেতা-কর্মীরা কয়েক বছর আগে বলতেন, হাসিনা ক্ষমতা হারালে বাংলাদেশ হিন্দুশূন্য হয়ে যাবে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ঠিক সেটাই হতে চলেছে।
বাংলাদেশে এখন মৌলবাদীরাই সবচেয়ে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। পুলিশ-প্রশাসন তাদের কথাতেই চলছে। অবাধে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। দীপু চন্দ্র দাশের (Dipu Chandra Das) নৃশংস হত্যাকাণ্ডই তার প্রমাণ। এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটে চলেছে। কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।