নতুন মরসুমে ইস্টবেঙ্গল দল নিয়ে অনেক আশা করেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু রবিবার ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচ দেখে হতাশ হয়েই বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ছাড়তে হল লাল-হলুদ জনতাকে।
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে নায়ক বহু যুদ্ধের ঘোড়া হরমনজ্যোত সিং খাবরা। কয়েক বছর পর পাঞ্জাবের এই ফুটবলার পুরনো দলে ফেরায় খুশি হয়েছিলেন লাল-হলুদ সদস্য-সমর্থকরা। কিন্তু রবিবার ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচের পর সমর্থকদের কাছে খলনায়ক হয়ে গেলেন সেই খাবরাই। ম্যাচের শেষদিকে যে মারাত্মক ভুল করলেন ইস্টবেঙ্গলের এদিনের অধিনায়ক, তাতেই পয়েন্ট হারাতে হল দলকে। বক্সের মধ্যে বিপক্ষের ফুটবলার আছেন দেখেও ব্যাক পাস করতে যান খাবরা। তাঁর বাঁ পায়ের দুর্বল ব্যাকপাস চলে যায় বিপক্ষের ফুটবলারের পায়ে। এরপর লাল-হলুদে সদ্য যোগ দেওয়া গোলকিপার প্রভসুখন সিং গিলও মারাত্মক ভুল করেন। তিনি বল ধরতে গিয়ে ফস্কান। ফলে দ্বিতীয় গোল করে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ সেনা দল।
এর আগে ম্যাচের ৬৬ মিনিটে মাথা গরম করে হাত চালিয়ে লাল কার্ড দেখেন এদিনই প্রথম ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে নামা নিশু কুমার। তখন ২-০ এগিয়েছিল দল। ১০ জনে হয়ে যাওয়ার পরেই ২ গোল হজম করে লাল-হলুদ। গত মরসুমে যেভাবে বেশিরভাগ ম্যাচেই শেষদিকে গোল খেয়ে ম্যাচ ড্র করে বা হেরে যায় ইস্টবেঙ্গল, এবারের ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচেও ঠিক সেটাই হল। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোলদাতা সল ক্রেসপো ও হেভিয়ের সিভেরিওকে কেন তুলে নেওয়া হল, সেটা বোঝা গেল না। ক্রেসপোর পরিবর্তে মাঠে নামা বোরহা হেরেরা এবং সিভেরিওর পরিবর্তে খেলতে নামা ভিপি সুহের খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। শেষদিকে গুরসিমরত গিলের পরিবর্তে নতুন বিদেশি সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জর্ডন এলসেকে নামানোও ইস্টবেঙ্গল কোচের আর একটি ভুল সিদ্ধান্ত। শনিবার রাতে কলকাতায় এসে পৌঁছন এলসে। এর আগে ভারতের কোনও ক্লাবে খেলেননি এই ডিফেন্ডার। তিনি কলকাতার পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আগেই খেলতে নেমে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারলেন না। ২টি গোলের ক্ষেত্রেই দায় এড়াতে পারেন না এলসে।
এদিন ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ক্রেসপো। প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্যবধান বাড়ান সিভেরিও। ৮৭ মিনিটে ব্যবধান কমান মহম্মদ শাহরিয়র ইমন। এরপর সংযোজিত সময়ের শেষমুহূর্তে সমতা ফেরান মিরাজ প্রধান।
এদিন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখালেন নাওরেম মহেশ সিং, মন্দার রাও দেশাই, নন্দকুমার, ক্রেসপো, সিভেরিও। কিন্তু বাকিরা দলকে ভরসা দিতে ব্যর্থ। ফলে ডার্বির আগে ফের আশঙ্কায় লাল-হলুদ জনতা।
আরও পড়ুন-
বাংলাদেশ সেনাকে ৫ গোলে হারিয়েও আত্মতুষ্টি নয়, পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে সতর্ক মোহনবাগান
পুজোয় কি কলকাতার বাড়তি আকর্ষণ লিওনেল মেসি? সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা
অভিনব উদ্বোধন! ডুরান্ড কাপের ট্রফি নিয়ে ৬৫ তলা থেকে ঝাঁপ দুই সেনাকর্তার