
এই নিয়ে ব্যাক টু ব্যাক দুবার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন কোন দল হবে, তা শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়তেই স্পষ্ট হয়ে যায়। ডায়মন্ডহারবার এফসি সেই মামলায় হেরে যায় এবং হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, ইস্টবেঙ্গলেরই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা ছিল। তারপরই লাল হলদুকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দেয় বাংলা ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ।
সোমবার দুপুরে, ইস্টবেঙ্গল মাঠেই চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত সহ আরও অনেকে। আর উল্লেখযোগ্যভাবে এই দিনই আবার চলতি বছরের কলকাতা লিগে, সুপার সিক্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামে লাল হলুদ। ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের দরকার ছিল মাত্র ১ পয়েন্ট। তাহলেই খেতাব নিশ্চিত ছিল সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়দের।
কিন্তু ড্র নয়! এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় তারা। মাঝে কিছুটা সময় একটু নির্বিষ ফুটবল হলেও, শেষপর্যন্ত ম্যাচ জেতে লাল হলুদ ব্রিগেড। তবে এই খেলায় ইউনাইটেড স্পোর্টসের একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি। যেহেতু এটি খেতাবি লড়াইয়ের ম্যাচ ছিল, তাই ইউনাইটেড স্পোর্টসের তরফেও বহু দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন মাঠে। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে, ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন ডেভিড এবং ৮৯ মিনিটে গোল করেন শ্যামল। ইউনাইটেড স্পোর্টসের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অমিত বসাক। আর এই ম্যাচে জয়ের সুবাদে, চলতি কলকাতা লিগের শিরোপাও জিতে নিল ইস্টবেঙ্গল।
সোমবার, বিরাট সংখ্যায় লাল হলুদ সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল মাঠে। তাদের কারও হাতে ছিল লাল হলুদ পতাকা, কারও মুখে বাঁশি, ভারতের পতাকা এবং অবশ্যই ড্রাম বাজছিল গ্যালারিতে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকেন অনবরত। এমনকি, মাইকে ধরেন গান। লাল হলুদ ফুলঝুরি ছাড়াও বাজিও ফাটানো হয়। যেন লিগ জয়ের পর, উৎসবের পরিবেশ।
পরপর দুবার লিগ জিতে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত লাল হলুদ জনতা। এদিন মাঠে আসা লাল হলুদ জনতার অনেকেই ম্যাচ শেষে, মাঠে নেমে পড়েন। রীতিমতো উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা। ট্রফি খরা কাটিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তাদের মধ্যে একজন আবার মাঠে শুয়ে পড়েন। যেন পরম তৃপ্তি। এইরকমই একাধিক টুকরো টুকরো মুহূর্ত ধরা পড়ল সোমবারের ম্যাচে।
ম্যাচ শেষে, এক হাতে ইলিশ মাছ এবং আরেক হাতে কলকাতা লিগের ট্রফি, এইরকম ছবিও কিন্তু ধরা পড়ল ইস্টবেঙ্গল মাঠে। নিঃসন্দেহে সেই পুরনো দিনের কলকাতা ময়দানের ছবি যেন ফিরে এল। বলা চলে, বাংলা ফুটবলের নস্টালজিক মুহূর্ত।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।