হতাশাজনক প্রথমার্ধের পর ম্যাচের শেষদিকে গোল, সেনেগালকে ২-০ হারিয়ে দিল নেদারল্যান্ডস

বিশ্বকাপের সব ম্যাচেই দর্শকদের ভাল খেলা দেখার আশা থাকে। গোলও দেখতে চান ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু সোমবার রাতে নেদারল্যান্ডস-সেনেগাল ম্যাচে দর্শকদের মন ভরার মতো বিশেষ কোনও উপকরণ ছিল না।

Web Desk - ANB | Published : Nov 21, 2022 5:55 PM IST

সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান দুর্দান্তভাবে শুরু করেছে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবেই নেদারল্যান্ড-সেনেগাল ম্যাচ নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আশা বেড়ে গিয়েছিল। 'ইউরোপের ব্রাজিল' হিসেবে পরিচিত নেদারল্যান্ডস বরাবরই দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারল না ডাচরা। তাদের রক্ষণে সমস্যা নেই, গোলকিপারও বেশ ভাল খেললেন। কিন্তু আক্রমণে সমস্য়া রয়েছে। অ্যাটাকিং থার্ডে ঠিক সময়ে ফুটবলারের সংখ্যা বাড়াতে না পারলে এবং আক্রমণে বৈচিত্র আনতে না পারলে পরের ম্যাচগুলিতে সমস্যায় পড়তে হবে ডাচদের। সেনেগাল সাধ্যমতো লড়াই করল। ডাচদের থেকে তারাই গোলের সুযোগ বেশি পেয়েছিল। কিন্তু আফ্রিকার এই দলটিও গোলখরায় ভুগল। ম্যাচ যখন গোলশূন্যভাবে শেষ হবে বলে মনে হচ্ছিল, তখনই এল প্রথম গোল। ৮৪ মিনিটে গোল করেন কোডি গাকপো। এরপর ম্যাচের শেষমুহূর্তে দ্বিতীয় গোল করেন ডেভি ক্লাসেন। এই দু'টি গোলই ডাচদের প্রথম ম্যাচে ৩ পয়েন্ট এনে দিল।

চলতি বিশ্বকাপে এর আগে কোনও ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হয়নি। নেদারল্যান্ডস ও সেনেগাল প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝাঁপাচ্ছিল, কিন্তু কিছুতেই গোলমুখ খুলছিল না। দলের সেরা অস্ত্র সাদিও মানে চোটের জন্য খেলতে না পারায় সেনেগালের আক্রমণের ধার অনেকটাই কমে গিয়েছিল। প্রথমার্ধে বারবার সেটা বোঝা যাচ্ছিল। নেদারল্যান্ডসের আক্রমণেও ভেদশক্তির অভাব প্রকট হয়ে যাচ্ছিল। প্রথমার্ধে কোনও দলই ওপেন চান্স পায়নি। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি হাফ চান্স এসেছিল, কিন্তু গোলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে চলতে থাকে খেলা। তবে ডাচদের চেয়ে সেনেগালের আক্রমণ বেশি ছিল। ম্যাচের শেষদিকে খেলার গতির বিপরীতেই গোল করেন গাকপো।

কাতারের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ ২-০ গোলে জিতেছে ইকুয়েডর। নেদারল্যান্ডসও প্রথম ম্যাচ ২-০ গোলে জিতল। প্রথম ম্যাচ হেরে কিছুটা সমস্যায় পড়ে গেল সেনেগাল। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে সেনেগালের লড়াই একেবারেই সহজ হবে না। প্রথম ম্যাচ জিতে থাকায় আত্মবিশ্বাস পেয়ে গিয়েছেন এনার ভ্যালেন্সিয়ারা। তাঁরা ডাচদেরও কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে তৈরি। ফলে গ্রুপ এ-র পরের ম্যাচগুলি আকর্ষণীয় হতে চলেছে।

Read more Articles on
Share this article
click me!