এবারের বিশ্বকাপ অভিযান দারুণভাবে শুরু করল ইউরো কাপে রানার্স হওয়া ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে ইরানকে উড়িয়ে দিলেন হ্যারি কেন, বুকায়ো সাকারা। জোড়া গোল করলেন সাকা। অধিনায়ক কেন গোল না পেলেও বেশ ভাল খেললেন।
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানকে সহজেই ৬-২ গোলে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড। গোল করলেন জুড বেলিংহ্যাম, বুকায়ো সাকা ও রাহিম স্টার্লিং। এদিনের ম্যাচের প্রথমার্ধে ৩ গোল হয়। দ্বিতীয়ার্ধে হয় ৫ গোল। ম্যাচের ৩২ মিনিটে কর্নার থেকে হ্যারি ম্যাগুয়েরের হেড বারে লেগে ফিরে না এলে ইংল্যান্ডের ব্যবধান বাড়ত। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ইংল্যান্ডেরই দাপট ছিল। ৩৫ মিনিটে প্রথম গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন বেলিংহ্যাম। এটাই দেশের হয়ে তাঁর প্রথম গোল। ৪৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন বুকায়ো সাকা। ২ মিনিট পরেই অসাধারণ গোল করে ব্যবধান বাড়ান রাহিম স্টার্লিং। প্রথমার্ধের শেষে ৩-০ গোলে এগিয়েছিল ইংল্যান্ড। ৬১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন সাকা। এরপরেই ব্যবধান কমায় ইরান। ৬৫ মিনিটে অসাধারণ গোল করেন মেহদি তারেমি। ১ গোল করার পর ব্যবধান কমানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইরান। তাদের পক্ষে আর গোল করা সম্ভব হয়নি। উল্টে ৭১ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান বাড়ান মার্কাস র্যাশফোর্ড। এরপর ৯০ মিনিটে ষষ্ঠ গোল করেন জ্যাক গ্রিলিশ। ম্যাচের শেষমুহূর্তে পেনাল্টি পায় ইরান। গোল করে ব্যবধান কমান তারেমি।
এবারের বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫ নম্বরে ছিল ইংল্যান্ড। সেখানে ২০ নম্বরে ছিল ইরান। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সেও ইরানের চেয়ে অনেক এগিয়ে ইংল্যান্ড। গত ইউরো কাপে রানার্স হয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ইরানের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকেই দু'দলের পার্থক্যটা বারবার দেখিয়ে দিলেন হ্যারি কেন, স্টার্লিংরা। ম্যাচের শুরুতেই গোলকিপার আলিরেজার বেইরানভান্ড চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ে যায় কার্লোস কুইরোজের দল। ম্যাচের ৮ মিনিটেই রাইট উইং থেকে কেনের ক্রস ধরতে গিয়ে সতীর্থ মজিদ হোসেইনির সঙ্গে ধাক্কা লেগে চোট পান ইরানের গোলকিপার। তাঁর নাক থেকে রক্ত পড়তে থাকে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তাঁর চিকিৎসা। এরপর উঠে দাঁড়ালেও, বেশিক্ষণ খেলা চালাতে পারেননি বেইরানভান্ড। তিনি ১৯ মিনিটে মাঠ ছাড়েন। পরিবর্ত গোলকিপার হিসেবে মাঠে নামেন হোসন হোসেইনি। এই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি ইরান। ইরানের গোলকিপারের চিকিৎসার জন্য অনেকটা সময় লাগায় চতুর্থ রেফারি প্রথমার্ধে ১৪ মিনিট ইনজুরি টাইম দেন। দ্বিতীয়ার্ধে ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় ১০ মিনিট।
১৯৬৬ সালের পর আর বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। এবার ট্রফি জিততে মরিয়া ব্রিটিশরা। প্রথম ম্যাচেই সাকা, স্টার্লিংরা যে পারফরম্যান্স দেখালেন, তাতে তাঁদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার বলাই যায়। তবে আপাতত গ্রুপের সেরা হয়ে নক-আউটে যাওয়াই ইংল্যান্ডের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন-
এবার বিশ্বকাপে এশিয়ার সব দলই কঠিন গ্রুপে, নক-আউটে যাওয়ার আশা ক্ষীণ
ইনস্টাগ্রামে ৫০০ মিলিয়ন ফলোয়ার, ইতিহাস গড়লেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো
পরনে নেইমারের জার্সি, চোখে সানগ্লাস, বিশ্বকাপে নজর কাড়ছে 'সন্টু'