এবারের বিশ্বকাপে চোট-আঘাত যেন পিছু ছাড়ছে না বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে চোট পেয়েছিলেন কয়েকজন তারকা ফুটবলার। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই চোট পেলেন আরও এক ফুটবলার।
মঙ্গলবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ডান হাঁটুতে চোট পেয়ে উঠে যান ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্ডেজ। তখন চোটের গুরুত্ব বোঝা যায়নি। পরে জানা গেল, তাঁর যে চোট, সেটি অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট হিসেবে পরিচিত। এই চোটের জন্য এবারের বিশ্বকাপে আর কোনও ম্যাচ খেলতে পারবেন না এই ডিফেন্ডার। ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাতারে চিকিৎসকরা হার্নান্ডেজের চোট পরীক্ষা করেছেন। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, এই ফুটবলারের পক্ষে আপাতত কিছুদিন মাঠে নামা সম্ভব হবে না। ফলে তাঁকে বাদ দিয়েই বাকি ম্যাচগুলিতে খেলতে হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে চোট পেয়ে ছিটকে যান পল পোগবা, এন'গোলো কঁতে, ক্রিস্টোফার এনকুনকু। দলের সঙ্গে কাতারে গেলেও, বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ঠিক আগে চোট পেয়ে ছিটকে যান তারকা স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জেমা। এবার ছিটকে গেলেন হার্নান্ডেজ। ফলে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেঁশর সমস্যা শেষ হচ্ছে না। তাঁর পরিকল্পনা সবসময়ই বদলে যাচ্ছে। নতুন করে দল সাজাতে হচ্ছে দেঁশকে।
বুন্দেশলিগার সবচেয়ে সফল দল বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলেন হার্নান্ডেজ। তিনি ফ্রান্সের রক্ষণেরও অন্যতম ভরসা ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরুতেই চোট পান এই ডিফেন্ডার। তাঁর বদলে মাঠে নামেন ভাই থিও হার্নান্ডেজ। ফ্রান্স সহজেই এই ম্যাচ ৪-১ গোলে জেতে। ফলে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু পরের ম্যাচগুলিতে দেঁশকে নতুন করে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পর হার্নান্ডেজের চোট প্রসঙ্গে ফ্রান্সের কোচ বলেছিলেন, 'ওর চোট কতটা গুরুতর সেটা জানার জন্য পরীক্ষা করাতে হবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওর চোট গুরুতর। এটাই এই ম্যাচের কালো দিক।' দেখা গেল দেঁশর আশঙ্কাই ঠিক। তিনি চলতি বিশ্বকাপে আর নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডারকে পাচ্ছেন না।
দলে চোট-আঘাত যতই প্রভাব ফেলুক না কেন, ফ্রান্সের পারফরম্যান্সে কিন্তু তার প্রতিফলন নেই। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অলিভিয়ের জিরু, কিলিয়ান এমবাপে, আঁতোয়া গ্রিজম্যানরা। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। এই ম্যাচ জিততে পারলেই নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সেটাই আপাতত ফরাসি শিবিরের প্রধান লক্ষ্য। রাশিয়ায় ফ্রান্সের যে দলটা বিশ্বকাপ জিতেছিল, এবার সেই দলে কিছু বদল আনতে বাধ্য হয়েছেন দেঁশ। তবে এই দলে যাঁরা আছেন তাঁরা সবাই ভাল পারফরনম্যান্স দেখাতে তৈরি। ফলে ফ্রান্সের সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন-
ব্রাজিল বিশ্ব ফুটবলের সফলতম দল, চাপ নিয়েই খেলতে হবে, সাফ জানালেন কোচ তিতে
পরিচ্ছন্ন ফুটবল, আগাগোড়া দাপট বজায় রেখে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ৭-০ জয় স্পেনের
'ওয়ানলাভ' আর্মব্যান্ডে নিষেধাজ্ঞা, ফিফার বিরুদ্ধে আদালতে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন