পরিচ্ছন্ন ফুটবল, আগাগোড়া দাপট বজায় রেখে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ৭-০ জয় স্পেনের

কাতার বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত যতগুলি ম্যাচ হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাপট নিয়ে খেলল স্পেন। বুধবার স্পেনের সামনে দাঁড়াতেই পারল না কোস্টারিকা।

Soumya Gangully | Published : Nov 23, 2022 5:58 PM IST / Updated: Nov 24 2022, 12:38 AM IST

কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অসাধারণ ফুটবল খেলল স্পেন। এবারের বিশ্বকাপে লুই এনরিকের দলে বেশিরভাগ ফুটবলারই তরুণ। তাঁদের নিয়েই বাজিমাত করার স্বপ্ন দেখছেন স্প্যানিশ কোচ। তাঁর দল বাছাই যে ভুল হয়নি, সেটা কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে বুঝিয়ে দিলেন গাভি, ফেরান তোরেস, দানি ওলমো। কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিল স্পেন। জোড়া গোল করলেন তোরেস। একটি করে গোল ওলমো, মার্কো আসেনসিও, গাভি, কার্লোস সোলার ও আলভারো মোরাতার। প্রথমার্ধের শেষে ৩-০ গোলে এগিয়েছিল স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৪ গোল হয়। প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত দাপট বজায় রেখে গেল স্পেন। ২০১৮ বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচেই এত বড় ব্যবধানে হারেনি কোস্টারিকা। সেই দলে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার জনি অ্যাকোস্টা। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ইনজুরি টাইমে ২ গোল খান অ্যাকোস্টারা। কিন্তু এবার প্রথম ম্যাচেই ভেঙে পড়ল কোস্টারিকার রক্ষণ। কোস্টারিকার ফুটবলারদের কোনও সুযোগই দিলেন না স্প্যানিশরা। এদিন স্পেনের গোল লক্ষ্য করে একটিও শট নিতে পারেননি কোস্টারিকার ফুটবলাররা। এই ছোট্ট পরিসংখ্যানেই স্পেনের দাপট স্পষ্ট।

এদিন স্প্যানিশ ফুটবলাররা গোল করা শুরু করেন ১১ মিনিট থেকে। প্রথম গোল করেন ওলমো। ১০ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল করেন আসেনসিও। ৩১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের প্রথম এবং দলের তৃতীয় গোল করেন তোরেস। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। ৫৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোল করেন তোরেস। ৭৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান গাভি। ১৮ বছরের এই তরুণই বিশ্বকাপে স্পেনের কনিষ্ঠতম গোলদাতা। ৯০ মিনিটে স্পেনের হয়ে ষষ্ঠ গোল করেন সোলার। ইনজুরি টাইমে ব্যবধান বাড়ান মোরাতা।

২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। সেবার তারা ৭ ম্যাচে ৮ গোল করেছিল। এবার প্রথম ম্যাচেই ৭ গোল করল স্পেন। এনরিকে তরুণ ফুটবলারদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনি বার্সেলোনার কোচ হিসেবে যেভাবে তিকিতাকা ফুটবল খেলাতেন দলকে, জাতীয় দলেও সেই ছন্দ এনেছেন। 

এই স্পেন দলের সবচেয়ে বড় শক্তি তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ। স্পেনের তরুণ ফুটবলারদের বয়স কম হলেও, তাঁরা সবাই বিভিন্ন নামী ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলেন। ফলে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নিয়েছেন। স্পেন শুরু থেকে শেষপর্যন্ত একই ছন্দে খেলছে। এটা এই দলের সবচেয়ে বড় গুণ। পরের ম্যাচগুলিতেও চমক দিতেই পারে স্পেন।

আরও পড়ুন-

'ওয়ানলাভ' আর্মব্যান্ডে নিষেধাজ্ঞা, ফিফার বিরুদ্ধে আদালতে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন

ভাল আছি, হাসপাতাল থেকে বার্তা আর্জেন্টিনা ম্যাচে চোট পাওয়া সৌদি ডিফেন্ডারের

অতিরিক্ত আত্মতুষ্টিই আর্জেন্টিনার হারের কারন, ছন্দে ফিরতে পারবে মেসি বাহিনী!

Read more Articles on
Share this article
click me!