শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের সামনে ক্রোয়েশিয়া।
এবারের বিশ্বকাপে যে ২ ম্যাচে চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে ব্রাজিল, সেই ২ ম্যাচই যেমন দর্শকদের কাছে দৃষ্টিনন্দন ও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে, তেমনই সহজ জয়ও পেয়েছেন নেইমার-রিচার্লিসনরা। শুক্রবার এবারের বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালেও আক্রমণই ভরসা ব্রাজিলের কোচ তিতের। আক্রমণেই প্রতিপক্ষকে মাত করতে চায় ব্রাজিল। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সহজ জয় দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। নেইমার, ড্যানিলো ফিট হয়ে ওঠায় তিতের চিন্তা অনেকটা কমেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে নেইমারকে পুরো সময় খেলানো হয়নি। তবে তাঁর ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। প্রথমার্ধেই ৪ গোল হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে আর ঝুঁকি নেননি ব্রাজিলের কোচ। কারণ, দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় ক্রোয়েশিয়া অনেক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। গত বিশ্বকাপের রানার্স লুকা মডরিচরা। তাই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামার আগে কিছুটা সতর্ক ব্রাজিল শিবির।
এবারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ২ গোল খেয়েছে ব্রাজিলের রক্ষণ। নেইমাররা ৪ ম্যাচে ৭ গোল করেছেন। ব্রাজিলের রক্ষণ কতটা শক্তিশালী, সেটা কিন্তু এখনও ভালভাবে বোঝা যায়নি। ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশের কাউকে খেলাননি তিতে। ফলে সেই ম্যাচের ফল দেখে থিয়াগো সিলভাদের বিচার করা সম্ভব নয়। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে পারে ব্রাজিলের রক্ষণ। সেই পরীক্ষায় উতরে গেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারে ব্রাজিল।
গোড়ালির চোট সারিয়ে দলে ফিরে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন নেইমার। তিনি কোয়ার্টার ফাইনালেও দলের ভরসা। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন নেইমার। এটাই এবারের বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম গোল। কোয়ার্টার ফাইনালেও গোল করে দলকে জেতানোই নেইমারের লক্ষ্য।
এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা ক্যাসেমিরো। আক্রমণে দলকে সাহায্য করছেন, সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোল করে দলকে জিতিয়েছেন, একইসঙ্গে রক্ষণেও সাহায্য করছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার। মডরিচদের আক্রমণ ভোঁতা করে দেওয়ার জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে দল।
আক্রমণে নেইমারের পাশে ব্রাজিলের ২ ভরসা ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রিচার্লিসন। রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গার রিচার্লিসন কাতারে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন। তিনি রিয়াল মাদ্রিদে মডরিচের সঙ্গে খেলেন। ফলে বিপক্ষের সেরা ফুটবলারের শক্তি-দুর্বলতা ভালভাবেই জানেন। সেই অভিজ্ঞতা কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের কাজে লাগতে পারে। এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই দুরন্ত পারফরম্যান্স রিচার্লিসনের। নিজে গোল করছেন, অন্যদের গোল করতে সাহায্য করছেন। কোয়ার্টার ফাইনালেও তাঁর দিকে তাকিয়ে দল।
মডরিচ ছাড়াও ক্রোয়েশিয়ার ভরসা মার্সেলো ব্রজোভিচ, জসকো গাভার্ডিয়ল। ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা ব্রজোভিচ। দলকে সবরকমভাবে সাহায্য করেন এই মিডফিল্ডার। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জাপানের বিরুদ্ধেও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তিনি। নেইমারকে থামানোর জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে দল। ২০ বছরের গাভার্ডিয়ল ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণের বড় ভরসা। বয়সের তুলনায় বেশ পরিণত এই ডিফেন্ডার। রিচার্লিসনকে আটকানোর দায়িত্ব থাকবে তাঁর উপর।
আরও পড়ুন-
সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসরে যোগ দেওয়ার খবর অস্বীকার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর
টাইব্রেকারে নায়ক ইয়াসিন বোনো, স্পেনকে হারিয়ে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো