এবারের বিশ্বকাপের চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ২ দলই এই ম্যাচের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।
এবারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এবারও কিলিয়ান এমবাপে, অলিভিয়ের জিরু, আঁতোয়া গ্রিজম্যানরা যে ফর্মে আছেন, তাতে তাঁরা ইতালি ও ব্রাজিলের পর তৃতীয় দল হিসেবে পরপর ২ বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ইংল্যান্ডও ভাল খেলছে। হ্যারি কেন, ফিল ফডেন, জুড বেলিংহ্যামরা ভাল ফর্মে আছেন। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। এই ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে ফ্রান্সের মিডফিল্ডার আদ্রিয়ান র্যাবিয়ত বলেছেন, 'এবারের বিশ্বকাপে এর আগের ম্যাচগুলিতে ইংল্যান্ড যেভাবে খেলেছে, আমাদের বিরুদ্ধে সেভাবে খেলবে বলে মনে হয় না। ওদের দলে এমন কয়েকজন ফুটবলার আছে, যারা উইং দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে দৌড়তে পারে। ওদের ফুলব্যাকরাও দ্রুতগতিতে আক্রমণে উঠে আসে। তবে আমাদের বিরুদ্ধে ওরা এই ঝুঁকি নেবে না। কারণ, আমরা ওদের পাল্টা আঘাত হানতে পারি। সেটা ইংল্য়ান্ড ভালভাবেই জানে। সেই কারণে ওরা আমাদের বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলবে।'
এবারের বিশ্বকাপে অসাধারণ ফর্মে এমবাপে। তিনি কাতারে ৪ ম্যাচ খেলে ৫ গোল করেছেন। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছেন এই স্ট্রাইকার। কোয়ার্টার ফাইনালেও গোল করতে তৈরি এমবাপে। তিনি জানিয়েছেন, এবার গোল্ডেন বল বা গোল্ডেন বুট জেতা নয়, দলকে পরপর ২ বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করাই তাঁর লক্ষ্য।
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল করে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গেলেন জিরু। তিনি প্রাক্তন তারকা থিয়েরি অঁরিকে টপকে গিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে তৈরি জিরু।
ফ্রান্সের মুখোমুখি হওয়ার আগে ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, 'বিশ্বকাপ জেতার পথে কেউ আমাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। এমনকী, কিলিয়ান এমবাপেও আমাদের জয়ের পথে বাধা দিতে পারবে না। আমরা ওর জন্য লাল কার্পেট বিছিয়ে রাখব না। আমার মনে হয়, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এমবাপের খেলা হবে না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের খেলা হবে।'
ওয়াকারের এই বক্তব্য় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ইংল্যান্ডের সমর্থকরাও কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। তাঁরা বলছেন, 'আমাদের কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। আমাদের কাইল ওয়াকার আছে।' পাল্টা ফ্রান্সের সমর্থকরা ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে এমবাপের অসাধারণ ফর্ম এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় জমে উঠেছে কথার লড়াই।
আরও পড়ুন-
পেনাল্টি থেকে গোল হুগো বুমোসের, জামশেদপুরকে ১-০ হারাল এটিকে মোহনবাগান
বিশ্বকাপে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার লড়াইয়ের রেকর্ড কাদের পক্ষে? এগিয়ে না পিছিয়ে নেইমাররা?
প্রথম একাদশ থেকে বাদ রোনাল্ডো, প্রথম সুযোগেই হ্যাটট্রিক গনসালো র্যামোসের