মোহনবাগানকে ১০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল এফএসডিএল, মাফ করে দেওয়া হল আসল ও সুদ

ইন্ডিয়ান সুপার লিগ আয়োজন করে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে না ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল এটিকে মোহনবাগানকে ১০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার খবর।

Soumya Gangully | Published : Jul 19, 2023 4:18 PM IST / Updated: Jul 19 2023, 10:49 PM IST

১৯৯৭ সালে জেসিটি থেকে ইস্টবেঙ্গলে ফেরেন বাইচুং ভুটিয়া। সেই সময় লাল-হলুদ কর্তাদের কাছে বাইচুংকে দেওয়ার মতো টাকা ছিল না। আইএফএ-র কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে বাইচুংকে সই করায় ইস্টবেঙ্গল। এই ঘটনা জানাজানি হতেই গড়ের মাঠে বিতর্ক শুরু হয়। আইএফএ অফিস ঘেরাও করেন তৎকালীন মোহনবাগান সচিব প্রয়াত অঞ্জন মিত্র। এরপর আইএফএ-র পক্ষ থেকে বিতর্ক থামানোর জন্য ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি মোহনবাগান ও মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকেও ১৫ লক্ষ টাকা করে ধার দেওয়া হয়। গড়ের মাঠের ৩ বড় ক্লাব সেই টাকা শোধ দিয়েছিল কি না, সেটা পরবর্তীকালে জানা যায়নি। সেই ঘটনার ২৬ বছর পর ফের ভারতীয় ফুটবলে ঋণ নিয়ে বিতর্ক। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে মোহনবাগান ও ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) পরিচালক সংস্থা ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এফএসডিএল)।

এফএসডিএল-এর আর্থিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০২১-২২ মরসুমে মোহনবাগানকে ১০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল। কী কারণে এই ঋণ দেওয়া হয়েছিল, সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল দেওয়া হয় ঋণ। তবে টাকা শোধ দেওয়ার নির্দিষ্ট দিনের আগেই এই ঋণ মাফ করে দেয় এফএসডিএল। মোহনবাগানকে যেমন ঋণের আসল অঙ্কের ১০ কোটি টাকা দিতে হয়নি, তেমনই সুদ হিসেবে প্রদেয় ১.৯১ কোটি টাকাও মাফ করে দেওয়া হয়। এর ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে এফএসডিএল-কে। তা সত্ত্বেও মোহনবাগানকে কেন ঋণ দেওয়া হয়েছিল এবং কেন সেই টাকা ফেরত নেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে। মোহনবাগানই বা কেন ঋণ নিয়েছিল, সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই ঋণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অনেকের দাবি, বাণিজ্যিক কাজে এই টাকা ব্যবহার করেন মোহনবাগান কর্তারা। সেটা হলে এফএসডিএল-কে আইএসএল-এর অন্য ক্লাবগুলির প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। কারণ, আইএসএল-এর পরিচালক সংস্থা কোনও একটি ক্লাবকে বিশেষ সুবিধা দিতে পারে না।

২০২১-২২ অর্থবর্ষে এফএসডিএল-এর ৪৬.৩০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১৩.৬৮ কোটি টাকা। করোনা আবহে সব ম্যাচই হয়েছে গোয়ায় দর্শকশূন্য মাঠে। কোয়ারেন্টিন-সহ নানা ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। ফলে বিপুল খরচ সামলাতে হয়েছে এফএসডিএল-কে। সেই তুলনায় আয় কম হয়েছে। এই কারণেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে এফএসডিএল-কে।

আরও পড়ুন-

সুহেলের হ্যাটট্রিক, ফারদিনের জোড়া গোল, ডালহৌসিকে ৫-২ উড়িয়ে দিল মোহনবাগান

কেরালা ব্লাস্টার্সে যোগ দিতে চললেন প্রবীর, চোখের জলে বিদায় মায়ের, আবেগপ্রবণ গীতশ্রীও

এবারের মোহনবাগান রত্ন গৌতম সরকার, জীবনকৃতী সম্মান শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে

Share this article
click me!