Mohun Bagan Super Giant: জামশেদপুর এফসি-কে উড়িয়ে আইএসএল-এ দ্বিতীয় স্থানে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট

অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাসের প্রধান কোচ হিসেবে প্রত্যাবর্তন এবং জনি কাউকোর দলে ফেরা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে ইতিবাচক বদল এনেছে। আইএসএল-এ এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

জামশেদপুর এফসি-কে ৩-০ উড়িয়ে চলতি আইএসএল-এ পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শুক্রবার সন্ধেবেলা বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে লড়াই করলেও, ম্যাচ জেতার মতো খেলতে পারেনি খালিদ জামিলের দল। বরং ঘরের মাঠে অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাসের দলেরই বেশি দাপট ছিল। ম্যাচের শুরুতেই গোল করে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে এগিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেট্রাটস। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান জেসন কামিংস ও আর্মান্দো সাদিকু। এই জয়ের ফলে ১৬ ম্যাচ খেলে ৩৩ পয়েন্ট পেল সবুজ-মেরুন। অন্যদিকে, এদিন হেরে ১৮ ম্যাচ খেলে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে থাকল জামশেদপুর এফসি।

আক্রমণাত্মক ফুটবলে বাজিমাত সবুজ-মেরুনের

জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ৩-১-৪-২ ফর্মেশনে দল সাজান হাবাস। তাঁর প্রধান ভরসা ছিলেন দুই অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার কামিংস ও পেট্রাটস। তাঁদের সাহায্য করার জন্য ছিলেন লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, জনি কাউকো ও অভিষেক সূর্যবংশী। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে ছিলেন দীপক টাংরি। রক্ষণে ছিলেন আনোয়ার আলি, শুভাশিস বসু ও হেক্টর ইয়ুস্তে। জামশেদপুরের আক্রমণের ভরসা ছিলেন ড্যানিয়েল চিমা চুকু, হেভিয়ের সিভেরিও টোরো ও জেরেমি মানজোরো। কিন্তু তাঁরা বিশেষ কার্যকরী হতে পারলেন না। আক্রমণাত্মক ফুটবলে জামশেদপুরকে টেক্কা দিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।

কাউকো-পেট্রাটসের অসাধারণ পারফরম্যান্স

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন পেট্রাটস ও কাউকো। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন পেট্রাটস। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ৬৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন কামিংস। এরপর ৮০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান পরিবর্ত সাদিকু। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের গোলকিপার বিশাল কাইথও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান। তিনি একাধিক নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন। এর ফলেই সহজ জয় পেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।