রাতের অন্ধকারে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সব অংশের মানুষ। পথে নেমেছেন ময়দানি জনতা। আর এবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হলেন তিন প্রধানের কর্তারা।
রাতের অন্ধকারে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সব অংশের মানুষ। পথে নেমেছেন ময়দানি জনতা। আর এবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হলেন তিন প্রধানের কর্তারা।
কার্যত, উত্তাল গোটা দেশ, আন্দোলনে মুখর রাজ্য। দাবি একটাই ‘অভয়া’-র বিচার চাই। সেই বিচার চেয়ে ফুটবল মাঠের ভিতরেও দেখা যাচ্ছে প্রতিবাদ। আর এই টালমাটাল আবহের মাঝেই এবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হলেন মোহনবাগান (Mohun Bagan), ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) এবং মহামেডান (Mohammedan Sporting) কর্তারা।
উল্লেখ্য, রবিবার কার্যত ইতিহাস রচনা হয়ে গেছে কলকাতার (Kolkata) বুকে। এই ১৮ অগাস্ট তারিখটা বাঙালির চিরকাল মনে থাকতে বাধ্য। যেদিন কলকাতা ডার্বি হওয়ার কথা ছিল, ঠিক সেদিনই পথে নামার ডাক দেন দুই প্রধানের সমর্থকরা। আর এই প্রতিবাদে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যোগ দেন মহামেডান সমর্থকরাও। এদিন বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ৫ নম্বর, অর্থাৎ ভিআইপি গেট থেকে বিকেল ৫ টায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন তারা।
কিন্তু সেই প্রতিবাদের উপর নেমে আসে পুলিশের নির্মম আক্রমণ। লাঠিচার্জ করা হয় দুই দলের সমর্থকদের উপর। কার্যত, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান সমর্থকদের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় র্যাফ। বলা চলে, ফুটবলপ্রেমী জনতা আক্রান্ত হন এদিন। নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন ঘটনা।
আরও পড়ুনঃ
'জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যাবে রোষের আগুন', এবার বিচার চেয়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মেহতাব
আর এবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হলেন তিন প্রধানের কর্তারা। এদিন মোহনবাগান ক্লাবের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন দেবাশিস দত্ত, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন রুপক সাহা ও দেবব্রত সরকার এবং মহামেডান ক্লাবের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন ইশতিয়াক আহমেদ। তারা বলেন, প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাবেন, যাতে পুনরায় ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়।
মোহনবাগান কর্তা দেবাশিস দত্ত জানান, “পুলিশের লাঠিচার্জকে আমরা সমর্থন করিনা। অন্য পন্থা অবলম্বন করলে ভালো হত। আমরা কেউ রাজনীতির লোক নই। আমরা সবাই জাস্টিস চাই।” এই বিষয়টিকে আবার সমর্থন করেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারও।
তবে মহামেডান কর্তা ইশতিয়াক আহমেদের মতে, “আমাদের ফুটবলাররা প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের অধিকার আছে, তারা প্রতিবাদ করতেই পারে। তবে আমাদের থেকে অনুমতি নেয়নি। কিন্তু আমি মনে করি যে, এই জায়গাটা প্রতিবাদের জন্য সঠিক নয়।”
অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের কথায় “স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আইন না ভেঙে যে কেউ প্রতিবাদ করতে পারে। সেখানে ক্লাবের কোনও দায়বদ্ধতা নেই। তাঁর ব্যক্তিগত স্তর থেকে করেছে। তাঁর ইচ্ছেকে আমরা সমর্থন করছি। আমরা জানতাম না, আর জানলেও আমার কিছু করার ছিল না। করলে করবে। সমস্যা কোথায়? জাস্টিস তো সবাই চাইছে। তারা আইন মেনে প্রতিবাদ করতেই পারে।”
আরও পড়ুনঃ
আবারও প্রতিবাদ ফুটবল মাঠে, ইস্টবেঙ্গল বনাম রেইনবো ম্যাচেও উঠল 'অভয়া'-র বিচারের দাবি
তবে তিন প্রধানের কর্তা একযোগে দোষীদের শাস্তির জোরালো দাবি তোলেন। যদিও একশ্রেণির সমর্থকরা যে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন, সেই বিষয়টিকে তারা সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে, তিন প্রধানের কর্তারা চাইছেন ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল যেন কলকাতায় ফিরে আসে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।