ইউরো কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে (Quarter Final), জার্মানির হামবুর্গ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় পর্তুগাল বনাম ফ্রান্স (Portugal vs France Euro 2024)। হাড্ডাহাড্ডি এই ম্যাচে টাইব্রেকারে জয় পেল ফ্রান্স। সেইসঙ্গে, সেমিফাইনালে চলে গেল তারা।
ইউরো কাপের (Euro Cup 2024) দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে (Quarter Final), জার্মানির হামবুর্গ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় পর্তুগাল বনাম ফ্রান্স (Portugal vs France Euro 2024)। হাড্ডাহাড্ডি এই ম্যাচে টাইব্রেকারে জয় পেল ফ্রান্স। সেইসঙ্গে, সেমিফাইনালে চলে গেল তারা।
খেলার শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি (Portugal vs France Euro 2024 Live) লড়াই চোখে পড়ে। তবে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রাফায়েল লিয়াও (Rafael Leao) ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই লাগাতার আক্রমণ শুরু করেন ফরাসি টপ বক্সে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করতে থাকেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ (Bruno Fernandes)।
তবে হাল ছাড়ার পাত্র ছিল না ফ্রান্সও। পাল্টা প্রতি আক্রমণে উঠে আসে তারাও। এমবাপে (Kylian Mbappe) এবং কৌন্ডে (Jules Kounde) চাপ বাড়াতে থাকেন পর্তুগালের ওপর। তবে ম্যাচের (পর্তুগাল বনাম ফ্রান্স ইউরো ২০২৪) ৩৭ মিনিটে, পর্তুগাল স্ট্রাইকার ভিটিনহা (Vitinha) সুযোগ নষ্ট না করলে এগিয়ে যেতে পার্ত পর্তুগিজরা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ফার্স্ট হাফে দুটি দলই যে বিশাল কিছু পজিটিভ সুযোগ তৈরি করেছে তা নয়। হ্যাঁ, কিছু পজিটিভ মুভ দেখা যায় দুই দলের তরফ থেকেই। কিন্তু গোলের দরজা খোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি (পর্তুগাল বনাম ফ্রান্স ইউরো ২০২৪ লাইভ)। শেষপর্যন্ত, প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থাতেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই এমবাপেকে বেশ সপ্রতিভ লাগে। তবে লড়াই তুল্যমূল্য চলছিল। কারণ, রুবেন ডায়াজ (Ruben Dias) জোয়াও ক্যান্সেলো (Joao Cancelo) এবং নুনো মেন্ডেজ (Nuno Mendes) খেলার দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে, খেলার ৫৪ মিনিটে, দুরন্ত একটি সেভ করেন ফরাসি গোলরক্ষক ম্যাইগনান (Maignan)। শুধু টাই নয়, ম্যাচের ৬০ মিনিটে, জোয়াও ক্যান্সেলোর বাড়ানো বলে ব্রুনো ফার্নান্দেজের শট ফের একবার রুখে দেন ফ্রান্স গোলকিপার।
এদিন কার্যত, অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন ম্যাইগনান। একের পর এক সেভ করতে থাকেন তিনি। অন্যদিকে, কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে আসে ফ্রান্সও। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে, ফ্রান্সের কোলো মুয়ানি (Kolo Muani) একটুর জন্য গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।
খেলার ৭০ মিনিটে, আরও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ফরাসি ডিফেন্ডার ক্যামাভিঙ্গা (Camavinga)। অন্যদিকে, ম্যাচের ৭৪ মিনিটে দুটি পরিবর্তন করেন পর্তুগিজ কোচ। ব্রুনো ফার্নান্দেজ এবং জোয়াও ক্যান্সেলোকে তুলে নেন তিনি। মাঠে আসেন সেমেডো (Semedo) এবং কনকেইকাও (Coceicao)।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ফ্রিকিক থেকেও গোলের দরজা খুলতে পারেনি পর্তুগাল। উল্টোদিকে, খেলার ৮৯ মিনিটে, ডেম্বেলেও গোল করতে ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুনঃ
Euro Cup: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষ আটে, কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি কারা? পূর্ণাঙ্গ সূচি একনজরে
তবে এদিন ম্যাচে, ‘সিআর৭’-কে কার্যত বোতলবন্দি করে ফেলেন ফরাসি রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। তবে পর্তুগিজ ডিফেন্ডার পেপে এই ম্যাচেও যথেষ্ট ওয়ার্কলোড নেন। তবে রোনাল্ডো যেটুকু সুযোগ পেয়েছিলেন, তা কাজে লাগাতে পারেননি। তাঁর শট বাইরে চলে যায়।
শেষপর্যন্ত, নির্ধারিত সময়ে খেলার নিস্পত্তি না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও পক্ষই। মুয়ানি এবং রোনাল্ডো যে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন, তা যদি লাগাতে পারতেন, তাহলে হয়ত তখনই এগিয়ে যেতে পারত পর্তুগিজরা।
শেষঅবধি, অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ না হওয়ায় খেলা চলে যায় টাইব্রেকারে।
আর হাড্ডাহাড্ডি এই ম্যাচে টাইব্রেকারে জয় পেল ফ্রান্স। ফরাসিদের হয়ে টাইব্রেকারে গোল করেন ডেম্বেলে, ফোফানা, কৌন্ডে, বারকোলা এবং হার্নান্দেজ। অন্যদিকে, পর্তুগালের হয়ে গোল করেন রোনাল্ডো, বার্নার্ডো সিলভা, এবং নুনো মেন্ডেজ। জোয়াও ফেলিস্কের একমাত্র শটটিই পোষ্টে লাগে। ফলে, কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিল পর্তুগাল।
টাইব্রেকারের ফলাফলঃ ৫-৩
আরও পড়ুনঃ
Euro Cup: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জার্মানিকে যোগ্য 'জবাব' স্পেনের, ২-১ গোলে জয় নিকো উইলিয়ামসদের
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।