আধুনিক অলিম্পিকের ১২৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ১ বছর পিছিয়ে গিয়েছে প্রতিযোগিতা। গত ৩০ মার্চ অলিম্পিকের পরবর্তী ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করে জানানো হয়, আগামী বছর ২৩ জুলাই শুরু হবে অলিম্পিক। শেষ ৮ আগস্ট। সঙ্গে এও বলা হয় যে অলিম্পিকের ক্রীড়াসূচিতে কোনও কাটছাঁট করা হবে না। কিন্তু নতুন করে তৈরি হল জটিলতা। ১৬ মাস পিছিয়ে দেওয়ার পরও আদৌ পরের বছর অলিম্পিক হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন খোদ অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট ইয়োশিরো মোরি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অলিম্পিক বাতিলের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুনঃভারতে খেলতে আসা স্প্যানিশ ফুটবলারদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ,৫ মে বিশেষ বিমান
আগামী বছরও অলিম্পিক আয়োজন আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে, অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট ইয়োশিরো মোরি জানিয়েছেন, “এই ভাইরাসকে যদি আমরা হারাতে পারি তাহলে আগামী গ্রীষ্মে অলিম্পিক হবে। নাহলে খুবই কঠিন। আমি বলছি না যে গেমস হওয়া উচিত নয়। কিন্তু পরিস্থিতি না বদলালে আমরা বাতিল করতে বাধ্য হব। আর ২০২২ পর্যন্ত গেমস কোনওভাবেই পিছিয়ে দেওয়া যাবে না।" অলিম্পিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকেরা আসে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এত মানুষের জীবনের ঝুঁকি নেওয়া উচিৎ হবে না বলেও জানানো হয়েছে অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুনঃপিসিবির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাবে উমর, ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে জানালেন দাদা কামরান আকমল
আরও পড়ুনঃকিপিংয়ে ধোনির পরিবর্ত হয়ে স্নায়ূর চাপে ভুগছেন কে এল রাহুল
শুধু অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট ইয়োশিরো মোরি নয়, এর আগে পরের বছর অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, টোকিয়ো অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটির চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার তোশিরো মুতো। "১৬ মাস পিছনোর পরও আগামী বছর অলিম্পিকের আসর বসবে কি না, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না ।পরের বছর জুলাইতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি না, এখনই কারও পক্ষে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তাই এখন স্পষ্ট করে কিছু বলা কঠিন।” ফলে একের পর এক জাপান অলিম্পিকের কর্তারা যেভাবে গ্রেটেস্ট গেম অফ আর্থের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পৃথিবীর সব দেশের অ্যাথলিটদের।