
গত বছর টোকিও অলিম্পিক্সে (Tokyo Olympics) জ্যাভেলিন থ্রোয়ে (Javelin Throw) সোনা জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। স্বাধীনতার পর ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে অলিম্পিকের মঞ্চে ভারতের প্রথম সোনা জিতেছিলেন নীরজ। দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন তিনি। রাতারাতি ১৩০ কোটি দেশবাসীর হিরো হয়ে উঠেছিলেন নীরজ চোপড়া। সোনা জিতে দেশে ফেরার পর থেকেই শুভেচ্ছা, সংবর্ধনা, পুরষ্কারের বন্যায় ভেসেছেন 'সোনার ছেলে'। যা এখনও অব্য়াহত রয়েছে। নীরজের নামে দিন ঘোষণার পাশাপাশি সোনা জয়ীর নামে নামকরণ করা হয়ে সেনা স্টেডিয়ামের। নীরজ চোপড়ার সমর্থকদের খুশি করতে সোনা জয়ীর মার্চেন্ডাইজ এনেছে এএফআই। এবার টোকিওতে সোনা জয়ী নীরজ চোপড়াকে সম্মানজানে তার নামে 'সোনার' পোস্ট বক্স বসাল ভারতীয় ডাক বিভাগ (India Post Office)।
টোকিওতে গোল্ড মেডেল পাওয়ার পর থেকেই ভারতীয় ডাক বিভাগ ঠিক করেছিল 'সোনার ছেলে' কীভাবে সম্মান জানানো যায়। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হরিয়ানার খান্দ্রায় নীরজ চোপড়ার গ্রামে তার নামে বসানো হবে পোস্ট বক্স। টোকিওতে দেশবাসীকে সোনা উপহার দেওয়ার জন্য সেই পোস্ট বক্স সোনীল রঙের করার সিদ্ধান্তো নেয় ডাক বিভাগ। সেই মতোই নীরজ চোপড়ার গ্রামে তার বাড়ি থেকে একটু দূরে বসানো হয়েছে এই 'সোনার' পোস্ট বক্স। ভারতীয় ডাক বিভাগের তরফ থেকে এমন সম্মান পেয়ে আপ্লুত ছিলেন নীরজ চোপড়া। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে ডাকের প্রচলন অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে অলিম্পিকে সোনা জয়ী নীরজ চোপড়ার নামেও এই সোনালী পোস্ট বক্স অনেকরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ডাক বিভাগের এই পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই।
প্রসঙ্গত, টোকিও অলিম্পিক্সে জ্যাভলিন থ্রোয়ের ফাইনালে প্রথম রাউন্ডে নীরজ জ্যাভলিন ছোড়েন ৮৭.০৩ মিটার। শীর্ষে থেকে প্রথম রাউন্ড শেষ করেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে নিজেকে ছাপিয়ে গিয়ে নীরজ ছোড়েন ৮৭.৫৮ মিটার। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষেও শীর্ষস্থান ধরে রাখেন তিনি। কিন্তু তৃতীয় থ্রো ততটা ভালো হয়নি। ৭৬.৭৯ মিটার ছোড়েন নীরজ। তবে নীরজের দ্বিতীয় থ্রো কেউ টপকাতে না পারায় শীর্ষস্থান ধরে রাখেন নীরজ। চতুর্থ ও পঞচম প্রচেষ্টা ফাউল হয় নীরজে। কিন্তু সেরা তিনে থাকার দৌলতে পদক পঞ্চম থ্রোয়ের পরই নিশ্চিৎ করে ফেলেন নীরজ। ষষ্ঠ তথা শেষ প্রচেষ্টায় ৮৪.২৪ মিটার ছোঁড়েন নীরজ। তবে বাকি কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নীরজের দ্বীতিয় থ্রোয়ের দূরত্ব টপকাতে না পারায় তাঁর সোনা জেতেন নীরজ চোপড়া।