অলিম্পিকে (Olympic) জোড়া পদক জয়ী সুশীল কুমার (Sushil Kumar) খুনের অভিযোগে জেলে রয়েছেন। এবার আরও এক অলিম্পিক পদক জয়ীর বিরুদ্ধে উঠল খুনের অভিযোগ। এবার কাঠগড়ায় হকি (Hockey) প্লেয়ার বীরেন্দ্র লাকড়া (Birendra Lakra)।
ফের ভারতীয় ক্রীড়া ক্ষেত্রে তারকা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে উঠল খুনের অভিযোগ। এবার কাঠগড়ায় ভারতীয় হকি দলে প্লেয়ার বীরেন্দ্র লাকড়া। এর আগে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তারকা কুস্তিগীর ও অলিম্পিক পদক জয়ী সুশীল কুমার। এবার খুনের অভযোগ টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতীয় হকি দলের ব্রোঞ্জ জয়ী প্লেয়ারের বিরুদ্ধে। আনন্দ কুমার টপ্পো নামে এক ব্যক্তির খুনের পেছনে বীরেন্দ্র লাকড়াকে দায়ী করেছে মৃতের পরিবার। ত্রিকোণ প্রেমের জন্যই এই খুন বলে দাবি করা হয়েছে মৃতের পরিবারের তরফে। সেই স্বরযন্ত্রে বীরেনদ্র লাকড়া জড়িত বলে দাবি তাদের। বিষয়টি নিয়ে ওড়িশা পুলিসের ভূমিকায় খুব একটা সন্তুষ্ট নয় মৃতের পরিবার। সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে।
মৃত আনন্দ কুমার টপ্পো ও বীরেন্দ্র লাকড়া বন্ধু ছিলেন। দুজনে প্রতিবেশীও ছিলেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারী মাসে ভুবনেশ্বরের এক ফ্ল্যাটে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় আনন্দ কুমার টপ্পোর। মারা যাওয়ার সপ্তাহ দুয়েক আগে বিয়ে করেছিলেন আনন্দ কুমার। মৃতের বাবা বন্ধন টপ্পো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ‘ছেলে আত্মহত্যা করেনি। বীরেন্দ্র লাকড়া ও বান্ধবী মনজিৎ টেটে এই মৃত্যুর সঙ্গে পুরোপুরি জড়িত। ওকে মেরে ফেলা হয়েছে।’যদিও পুলিসের তরফে প্রাথমিক রিপোর্টে অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোনও উল্লেখ নেই। যদিও এই রিপোর্ট মানতে নারাজ মৃতের বাবা। তিনি আলাদাভাবে তদন্তের জাবি জানিয়েছে। ১৮ মে বন্ধন সশরীরে সেই ডিসিপির সঙ্গে দেখাও করেছিলেন এবং অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরের দিন অর্থাৎ ১৯ মে তিনি কটক-ভুবনেশ্বর পুলিশ কমিশনারের কাছে আলাদা একটা আবেদনপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুনঃউইম্বলডনের শুরুতে লড়াইয়ের মুখে নাদাল,আর্জেন্টাইন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় রাফার
আরও পড়ুনঃউইম্বলডনের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় কিংবদন্তী সেরেনার, নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে দিলেন বড় ইঙ্গিত
এক সাক্ষাৎকারে বন্ধন টপ্পো জানিয়েছেন, “পাশাপাশি থাকার সূত্রে লাকড়ারা ছিল আমাদের প্রতিবেশী। তাই ছোটবেলা থেকে আমার ছেলের বন্ধু। ২৮ ফেব্রুয়ারি লাকড়া আমার ছেলেকে ভুবনেশ্বরের ফ্ল্যাটে ডেকে পাঠায়। কিছুক্ষণ পরে শুনি অচৈতন্য অবস্থায় ছেলেকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তারপর শুনলাম মারা গিয়েছে। লাকড়ার কাছে জানতে চাই, কী কারণে এমন ঘটল? পরের দিন লাকড়া আমাকে ভুবনেশ্বরে আসতে বলে। সেখানে গেলে স্থানীয় থানায় আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়। থানার অফিসার আমাকে বলেন, ছেলে আত্মহত্যা করেছে। অথচ কোনও সুইসাইড নোট লিখে যায়নি।”বন্ধন আরও বলেন, “আমাকে আনন্দের মৃতদেহ দেখানো হয়। তবে অনেক বলাবলি করার পর। প্রথম দেখাতেই ওর গলায় হাতের ছাপ দেখতে পেয়েছিলাম।” বীরেন্দ্র লাকড়াক বিরুদ্ধেই যাবতীয় অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এখন দেখার তদন্তে কী উঠে আসে।