সোনাজয়ী শুটারকে দিল্লি বিমানবন্দরে হেনস্থা, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান

  • দিল্লি বিমান বন্দরে হেনস্থার শিকার শুটার ভেনু মাকর
  • হেনস্থার অভিযোগ এয়ার ইন্ডিয়ার দুই কর্মীর বিরুদ্ধে
  • অবশেষে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান
  • বিমানে উঠতে পারলেও অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি
     

Sudip Paul | Published : Feb 20, 2021 11:22 AM IST

ফের বিতর্কে এয়ার ইন্ডিয়া। এবার দিল্লি বিমান বন্দরে বিশ্বকাপ, কমনওয়েলথে সোনা জয়ী শুটারকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। ভারতীয় মহিলা শুটার মানু ভাকরকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। বিমান বন্দরে দাঁড়িয়েই একের পর এক ট্যুইট করেন সোনাজয়ী শুটার। অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামতে হয় কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে। ক্রীড়ামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিমানে উঠতে পারেন ১৯ বছরের তারকা শুটার।

 

 

ঘটনার সূত্রপাত নিজের শুটিংয়ের বন্দুক নিয়ে বিমানে ওঠার সময় মানু ভাকরকে বাধা দেন মনোজ গুপ্তা সহ আরও এক ব্যক্তি। মানু অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের ডিরেক্টরেট জেনারেল অর্থাৎ ডিজিসিএর অনুমতি পত্র দেখালেও, তা মানতে রাজি হননি ওই দুই কর্মী।  ডিজিসিএ-র অনুমতি পত্র দেখালেও তাতে স্টাম্প এবং সই না থাকায় মনোজ তা দেখতে অস্বীকার করে। জানায়, এজন্য মানুকে ১০ হাজার ২০০ টাকা দিতে হবে। এদিকে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নিয়ম বদলের কারণে ডিজিসিএ-র পারমিটে এখন আর ওই স্টাম্প বা সই থাকে না। কিন্তু মনোজরা এই নিয়ম জানতেন না। তাঁরা মানুকে বিমানে উঠতে বাধা দিতে থাকেন। এরপরই তাঁর ফোন কেড়ে নিয়ে বেশ কিছু ছবিও ডিলিট করে দেন বলেও অভিযোগ

 

 

এরপরই পরপর দুটি ট্যুইট ককরেন মানু ভাকর। প্রথম ট্যুইটে লেখেন,এআই ৪৩৭ বিমানে আমাকে উঠতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমার কাছে ওরা ১০ হাজার ২০০ টাকা চাইছে। এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের আমি  ডিজিসিএ কী সেটাই বোঝাতে পারছি না। আমাক কি ঘুঁষ দিতে হবে! এর পরই ক্রীড়ামন্ত্রীকে ট্যাগ করে তিনি আরও একটি টুইট করেন। সেখানে মানু লেখেন, আমি দুটি বন্দুক নিয়ে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছি। আমাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মী মনোজ গুপ্তার নামে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। মানুর অভিযোগ, সেই কর্মী তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। মানু লেখেন, ও আমার সঙ্গে অপরাধীদের মতো ব্যবহার করছে।

 

 

এরপরই আসনে নামেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তার সহায়তায় বিমান ওঠেন মানু। পরবর্তীয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ক্ষমাও চাওয়া হয়। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মানু ভাকর। একইসঙ্গে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিরেণ রিজিজুকেও। কিন্তু মানু ভাকরের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে নিন্দা করেছে ক্রীড়া মহল।
 

Share this article
click me!