আধুনিক অলিম্পিকের ১২৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ১ বছর পিছিয়ে গিয়েছে প্রতিযোগিতা। গত ৩০ মার্চ অলিম্পিকের পরবর্তী ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করে জানানো হয়, আগামী বছর ২৩ জুলাই শুরু হবে অলিম্পিক। শেষ ৮ আগস্ট। এবার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ পড়ল যুব অলিম্পিকের উপরও। টোকিও অলিম্পিক তো এক বছর পিছিয়েছে, অদৃশ্য এই প্রাণ পিপাসু ভাইরাসের কারণে ২০২২ সেনেগালের ডাকারে হতে চলা যুব অলিম্পিক পিছিয়ে গেল এক নয়, দুই নয়, চার বছর।
আরও পড়ুনঃকরোনার জের, একাধিক ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বাতিল করতে পারে বিসিসিআই.
এই প্রথমবার আফ্রিকান মহাদাশে অলিম্পিকের আসর বসার কথা ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির সভাপতি থমাস ব্যাচ জানিয়ে দেন, ২০২২ নয়, যুব অলিম্পিক হবে ২০২৬-এ। আইওসির এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকের পর তিনি এও স্পষ্ট করে দেন, সেনেগাল ও অলিম্পিক কমিটির যৌথ সম্মতিতেই গেমস পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন পিছিয়ে দেওয়া হল যুব অলিম্পিক। এই প্রশ্নের উত্তরে ব্যাচ বলেন, এবছর টোকিও অলিম্পিক হলে যুব অলিম্পিক আয়োজনের জন্য হাতে অনেকটা সময় পাওয়া যেত। তবে তা পরের বছর হবে বলে ঠিক হয়েছে। তাই পুরো বিষয়টা গোছাতে সময় নিতে চাইছে আইওসি। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী মহামারীর জেরে আর্থিক সমস্যাও তৈরি হয়েছে। গেমস পিছলে সে সমস্যাও কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যারফলে অপেক্ষা আরও বাড়ল সেনেগালের।
আরও পড়ুনঃ'মানুষ গম্ভীরকে একেবারেই পছন্দ নয়,ওর মধ্যে কিছু সমস্যা আছে', ফের তোপ শাহিদ আফ্রিদির
আরও পড়ুনঃপাকিস্তানের এক বিশেষ ভক্ত চিঠি লিখতেন কাম্বলিকে, যা পৌছে দিতেন রশিদ লতিফ
অপরদিকে যুব অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ার ক্ষতি হল ভারতেরও। কারণ ০২৬ যুব অলিম্পিকের আয়োজক দেশ হওয়ার অন্যতম ‘দাবিদার’ ছিল ভারত। আইওসিকে গেমস আয়োজনের ইচ্ছাপ্রকাশ করে চিঠিও পাঠিয়েছিল ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। আয়োজক শহর হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল মুম্বইয়ের নাম। তবে ভারত একা নয়, গেমস আয়োজনের দৌড়ে ছিল থাইল্যান্ড, রাশিয়া এবং কলোম্বিয়াও। কিন্তু ২০২৬ পর্যন্ত ডাকার গেমস স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ভারতের সে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। যদিও ২০৩০ -এ ফের দাবি জানাতে পারবে ভারত।