
২৮ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে বার্মিংহ্যাম ২০২২ কমনওয়েলথ গেমস। চলবে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন খেলায় চলছে যোগ্যতা অর্জন পর্ব। ভারতেও চলছে সেই যোগ্যতা অর্জন পর্ব। এবার কমওয়েলথে শক্তিশালী বক্সিং দল পাঠাতে চলেছে ভারত। দিল্লিতে যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। আর সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত চারজ মহিলা বক্সারের কমনওয়েলথের টিকিট পাকা হয়ে গিয়েছে। সেখানে যেমন রয়েছে খুসির সংবাদ, ঠিক তেমনই রয়েছে দুঃসংবাদও। যে চারজন যোগ্যতা অর্জন করেছেন কাহা হলেন নিখাত জারিন, লভলিনা বড়গোহাঁই , নীতু এবং জেসমিন। তবে বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জজয়ী পরভিন হুডা যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। যারা শেষ পর্যন্ত ব্রামিংহ্যাম যাচ্ছেন তারা এবার বিশ্ব মঞ্চে সেরাটা দেওয়ার অপেক্ষা।
যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৫০ কেজি বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিখাত জারিনের প্রতিপক্ষ ছিলেন হরিয়ানার মীনাক্ষি। তাকে সহজেই পরাজিত করেন নিখাত জারিন। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জয়ী লভলিনা বড়গোহাঁই নেমেছিলেন ৭০ কেজি বিভাগে। সেখনে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন রেলওয়ের পূজা। সেই ম্য়াচে প্রতিপক্ষকে হেলায় হারিয়ে কমনওয়েলথের টিকিট পাকা করেন লভলিনা বরগোহাঁই। নীতু ৪৮ কেজি বিভাগে পরাজিত করেন ২০১৯ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রূপো জয়ী মঞ্জু রানীকে। আর ২০২১ যুব এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয়ী জেসমিন ২০২২ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয়ী পারভিন হুডাকে লাইট মিডলওয়েট ফাইনালে দাঁড়াতেই দেননি। কমনওয়েলথে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ভারতীয় বক্সিং ফেডারশনের তরফে এই চারজনকে শুভেচ্ছা জানানো হয়ছে।
প্রসঙ্গত,চোটের কারণে শুক্রবারই যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছেন ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বক্সার মেরি কম। যোগ্যতা অর্জন পর্বে মেরি কমের প্রতিপক্ষ ছিলেন হরিয়ানার নীতুর বিরুদ্ধে। ৪৮ কেজি বিভাগে নেমেছিলেন তিনি। ম্য়াচে ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিলেন মেরি কম। ম্য়াচের আগে আত্মবিশ্বাসীও দেখাচ্ছিল তাকে। ম্য়চে শুরুটাও ভালোই করেছিলেন মেরি কম। তবে অদৃষ্ট যে তারজন্য এমন দুঃসময় নিয়ে আসবে তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি মেরি। প্রথম রাউন্ডেই লড়াই করতে করতে হাঁটু ঘুরে যায় তাঁর। রিংয়ে পড়ে যান। ডাক্তাররা ছুটে আসেন তাঁর শুশ্রূষা করতে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর পায়ে ব্যান্ডেজ বেধে নামার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ খেলার পর ফের বাঁ পা চেপে ধরে বসে পড়েন। রিংয়ের মধ্যে মেরিকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিব প্রচণ্ড যন্ত্রণায় রয়েছেন তিনি। আর ম্য়াচ চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। কমনওয়েলথ থেকে ছিটকে যাওয়ার যন্ত্রণা পায়ে লাগার যন্ত্রণার থেকেও বেশি। কারণ সম্ভবত এটিই ছিল তার শেষ কমনওয়েলথ গেমস।