কলকাতা ময়দানে 'ভোকাল টনিক কোচ' নামে বিখ্যাত ছিলেন পিকে ব্যানার্জি। প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথনে ক্রীড়াবিদরা কতটা উজ্জীবিত হবেন, কী বলছে সোশ্যাল মিডিয়া, দেখুন -
নীরজ কুমার থেকে মেরি কম - মঙ্গলবার অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্বকারী সকল ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। শুনলেন তাঁদের সংগ্রামের কাহিনি, সঙ্গে দিলেন জয়ের মন্ত্র- 'প্রত্যাশার চাপ নিও না, ১০০ শতাংশ দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করো'। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উত্সর্গ, সংকল্প এবং শৃঙ্খলার মতো গুণের জোরে, ভারতের অলিম্পিকগামী দলের ক্রীড়াবিদরা 'নয়া ভারত-এর প্রতিচ্ছবি' হয়ে উঠেছেন। খুব শীঘ্রই,বিজয় এই নতুন ভারতের অভ্যাসে পরিণত হবে'।
মঙ্গলবারের এই আলোচনায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন নতুন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নরিন্দর বাত্রা। আর এই অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করলেন নেটিজেনরা। সমাজকর্মী, চিকিৎসক, প্রাক্তন সেনাকর্মী, অভিনেতা থেকে বিশিষ্ট সাংবাদিক - সমাজের সব মহলের ক্রীড়ামোদী মানুষ এক সুরে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের গুণের প্রশংসা করেছেন। সেই সঙ্গে মোদীর এই অনুপ্রেরণা ক্রীড়াবিদদের মানসিক দিক থেকে অনেক বেশি চাঙ্গা, অনেক বেশি উজ্জীবিত করে তুলবে বলে জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
টোকিও অলিম্পিক ২০২০-তে তেরঙ্গা পতকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাওয়া প্রত্যেক ক্রীড়াবিদের সঙ্গে আলাদা করে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথনের এই উদ্যোগকে সেলাম জানিয়েছে ক্রীড়া মহলও। ১২০ কোটি ভারতবাসীর নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী যখন ক্রীড়াবিদদের আশ্বাস দেন 'প্রত্যাশার চাপ নিও না'বা 'তোমরাই নয়া ভারত-এর প্রতিচ্ছবি', তখন তারা উপলব্ধি করে গোটা দেশ তাদের সঙ্গে রয়েছে।
কলকাতা ময়দানে 'ভোকাল টনিক কোচ' নামে বিখ্যাত ছিলেন পিকে ব্যানার্জি। শুধুমাত্র ফুটবলারদের উজ্জীবিত করে কীভাবে ম্যাচ বের করে নিতে হয়, তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই কথোপকথনের উদ্যোগে উজ্জীবিত ক্রীড়াবিদরা অলিম্পিকে কতটা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন, সেটাই এবার দেখার। ২৩ জুলাই থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে টোকিও অলিম্পিক। কাজেই অপেক্ষা আর বেশিদিনের নয়।