বিশ্বনাথন আনন্দ, আর প্রজ্ঞানানন্দরা আন্তর্জাতিক স্তরে অসাধারণ সাফল্য পেলেও, ভারতে দাবা এখনও খুব জনপ্রিয় খেলা হয়ে উঠতে পারেনি। তবে দাবাড়ুদের নিয়ে আগ্রহ রয়েছে।
২ দশক আগে সানিয়া মির্জা যখন গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলা শুরু করেন, তখন তাঁর খেলার চেয়েও পোশাক, রূপ নিয়েই বেশি আলোচনা হত। এবার একই অভিযোগ করলেন নাগপুরের ১৮ বছর বয়সি দাবাড়ু দিব্যা দেশমুখ। তিনি সম্প্রতি টাটা স্টিল মাস্টার্সে খেলেছেন। সেই টুর্নামেন্ট চলাকালীন দর্শকদের আচরণে বিরক্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দিব্যা। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেছেন, টুর্নামেন্ট চলাকালীন তাঁর পোশাক, চুল, কথা বলার ধরন নিয়েই দর্শকদের বেশি আগ্রহ ছিল। এর বদলে তাঁর খেলা নিয়েই আলোচনা হওয়া উচিত বলে দাবি দিব্যার। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অনেকেই মহিলা খেলোয়াড়দের প্রতি এই ধরনের আচরণের কথা উল্লেখ করছেন।
মহিলা দাবাড়ুদের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ অন্যরকম, দাবি দিব্যার
দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দিব্যা লিখেছেন, ‘আমি অনেকদিন ধরেই এ বিষয়ে লিখব ভাবছিলাম, কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমাকে বলা হয়েছে এবং নিজেও দেখেছি, মহিলা দাবাড়ুদের খেলা নিয়ে দর্শকদের বিশেষ আগ্রহ থাকে না। এই টুর্নামেন্ট চলাকালীন আমিই সেটা লক্ষ করেছি। আমি একাধিক ম্যাচে ভালো খেলেছি। তার জন্য আমি গর্বিত। আমাকে অনেকেই বলেছেন, দর্শকরা আমার খেলা নিয়ে আগ্রহী ছিলেন না। তাঁরা আমার পোশাক, চুল, কথা বলার ধরন এবং সব তুচ্ছ বিষয়ের দিকে নজর দেন।’
অবিচারের শিকার হয়েছেন, দাবি দিব্যার
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দিব্যা আরও লিখেছেন, ‘মহিলারা যখন দাবা খেলেন, তখন তাঁরা কতটা ভালো খেলেন, সেদিকে দর্শকদের নজর থাকে না। এটা দুঃখজনক হলেও সত্যি। মহিলারা কীভাবে খেলেন এবং তাঁরা কতটা শক্তিশালী, সেদিকে কারও নজর থাকে না। আমার সাক্ষাৎকারের সময় দর্শকরা খেলা ছাড়া সবকিছু নিয়েই আলোচনা করেন। এটা দেখে আমি খুব হতাশ হয়েছি। খুব কম মানুষই আমার খেলার দিকে নজর দিয়েছেন। আমার মনে হয়েছে, এটা অন্যায়। কারও পুরুষ খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে খেলা নিয়েই আলোচনা হয়।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাগনাস কার্লসেনের বিরুদ্ধে লড়াই করেও হার প্রজ্ঞানানন্দর
R Praggnanandhaa: বিশ্বনাথন আনন্দকে টপকে দেশের সেরা দাবাড়ু প্রজ্ঞানানন্দ
Vaishali Rameshbabu: দাবায় অনন্য নজির, প্রথম ভাই-বোন গ্র্যান্ডমাস্টার প্রজ্ঞানানন্দ-বৈশালী