
নিজের দেশেই সমস্যায় নোভাক জকোভিচ
সার্বিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের আন্দোলনকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। এই কারণে সরকারের রোষে টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। সরকারপক্ষ তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করছিল। এই পরিস্থিতিতে নিজের পরিবারকে গ্রিসে পাঠিয়ে দিলেন জকোভিচ। তিনি নিজেও হয়তো আর সার্বিয়ায় ফিরবেন না। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয় মনে করছেন এই টেনিস তারকা।
গ্রিসেই পাকাপাকিভাবে থাকবেন জকোভিচ?
ইউরোপের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারকে রাখার জন্য গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে একটি বাড়ি কিনেছেন নোভাক জকোভিচ। তাঁর ১১ বছর বয়সি সন্তান স্টেফান ও ৮ বছর বয়সি সন্তান তারাকে এথেন্সের সেন্ট লরেন্স কলেজে ভর্তি করেছেন এই টেনিস তারকা। তিনি বুঝতে পেরেছেন, পরিবারকে নিয়ে আর সার্বিয়ায় থাকতে পারবেন না। সেই কারণেই পরিবারের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিকল্প ব্যবস্থা করেছেন।
গ্রিসেই থাকতে পারেন নোভাক জকোভিচ
ইউরোপের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে পাকাপাকিভাবে গ্রিসে থাকার জন্য গ্রিক গোল্ডেন ভিসার আবেদন জানাতে পারেন নোভাক জকোভিচ। গ্রিসে কেউ অর্থ বিনিয়োগ করলে তাঁকে সে দেশে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই নিয়মের সুযোগ নিয়েই পরিবার-সহ স্থায়ীভাবে গ্রিসে থাকতে চাইছেন জকোভিচ। তিনি হয়তো গ্রিসে বসবাস করার অনুমতি পেয়েও যাবেন।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পাশে জকোভিচ
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সার্বিয়ার এক রেল স্টেশনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়ারা। তাঁরা সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন এবং রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি জানান। এই আন্দোলনকে সমর্থন করেন নোভাক জকোভিচ। তিনি অস্ট্রেলিয়া ওপেন জয় এক জখম হওয়া পড়ুয়াকে উৎসর্গ করেন। বেলগ্রেড বাস্কেটবল ম্যাচে বিশেষ সোয়েটারের মাধ্যমে পড়ুয়াদের আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দেন এই টেনিস তারকা। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে পড়ুয়াদের আন্দোলনের ছবিও শেয়ার করেন।
সার্বিয়ায় দেশ-বিরোধী তকমা জকোভিচকে
সার্বিয়ার জাতীয় নায়ক নোভাক জকোভিচ। সারা দেশের মানুষই তাঁকে নিয়ে গর্বিত ছিল। কিন্তু এই তারকা সরকার-বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করায় দেশবাসীর একাংশের রোষের মুখে পড়েছেন। সরকার প্রভাবিত সংবাদমাধ্যম এখন জকোভিচকে দেশ-বিরোধী তকমা দিচ্ছে। এই তারকার তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে। তবে সরকার-বিরোধীরা জকোভিচকে পাশে পেয়ে খুশি। তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেলগ্রেড ওপেনও সরে গেল
এবার সার্বিয়া সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে নোভাক জকোভিচের পরিবার পরিচালিত বেলগ্রেড ওপেন এথেন্সে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতার আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সার্বিয়ায় টুর্নামেন্ট আয়োজন করার মতো পরিস্থিতি নেই। সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কথা অস্বীকার করেননি জকোভিচ। তবে তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে ফের বেলগ্রেডে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হতে পারে।