অলিম্পিকে জিমন্যাস্টে দেশের আশা বাংলার প্রণতি, সাফল্য কামনায় বিশেষ বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

টোকিও অলিম্পিক্সে জিমন্যাস্টে বাংলা তথা দেশের হয়ে একামাত্র প্রতিনিথি পিংলার প্রণতি নায়েক। তার সাফল্য কামনায় বিশেষ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
 

Sudip Paul | Published : Jul 14, 2021 9:01 AM IST / Updated: Jul 14 2021, 02:34 PM IST

টোকিও অলিম্পিক্সে  জিমন্যাস্টে দেশের একমাত্র ভরসা বাংলার প্রণতি নায়েক।  জিমন্যাস্টে ১৩০ কোটি দেশবাসীর সোনা জয়ের স্বপ্নের, প্রত্যাশার ভার বহন করছেন এক বঙ্গ তনয়া। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বাসিন্দা প্রণতি নায়েক। জিমন্যাস্টে টোকিও অলিম্পিকে মেডেলের জন্য জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামের ২৬ বছরের এই তরুণিকে ঘিরেই পোডিয়াম ফিনিশের স্বপ্ন দেখছে বাংলা তথা দেশবাসী। অলিম্পিকে সাফল্যের জন্য বাংলার মেয়েকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃএ যেন স্বপ্নের শহর, দেখে নিন টোকিও অলিম্পিক ভিলেজের অন্দরমহল ও তার বিশেষত্ব

প্রস্তুতি প্রায় শেষ প্রণতি। এবার শুধু অপেক্ষা টোকিওতে গিয়ে নিজের সেরাটা দিয়ে দেশকে গর্বিত করা। । দীপা কর্মকারের যেমন পছন্দ ছিল প্রদুনোভা ভল্ট। প্রণতির পছন্দ ৩৬০ ডিগ্রি ফ্রন্ট ও ব্যাক ভল্ট। প্রণতিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন,'আমাদের ঘরের মেয়ে প্রণতি নায়েককে আমার হার্দিক শুভকামনা। প্রণতি একমাত্র জিমন্যাস্ট যিনি গোটা দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।' এখানেই শেষ নয় মুখ্যন্ত্রী লেখেন,'প্রণতি মেদিনীপুরের একটি ছোট্ট অখ্যাত গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। কঠোর পরিশ্রমের জেরে তিনি ইতিমধ্যেই বহু সাফল্য অর্জন করেছেন। এবারেও তিনি সফল হবেন, এ বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।'

আরও পড়ুনঃমেসির আর্জেন্টিনা বনাম চিয়েলিনির ইতালি, সুপার কাপ ফাইনালে মহারণের জন্য তৈরি তো

আরও পড়ুনঃমেসির চার্টার্ড বিমানে ওঠার আগে বোমাতঙ্ক, বাতিল হয়ে গেল ছুটিতে যাওয়ার পরিকল্পনা

 

 

টোকিও যাওয়ার পথটা মোটেই সহজ ছিল না প্রণতি রায়ের। ছোট বেলা থেকেই জিমন্যাস্টিকের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়া।  জিমনাস্টিকে দেশ-বিদেশের বহু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে একাধিক পদক জিতেছেন। অবশেষে ২০১৯ সালে  এশিয়ান জিমনাস্টিক চাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতে জেলা, রাজ্য ও দেশকে গর্বিত করেছিলেন প্রণতি। কিন্তু ২০১৯ সালেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ্যতা অর্জন না করতে পেরে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তবে নিজের কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রণতি। আর কথায় বলে, ভাগ্য সবসময় বীরের সঙ্গ দেয়। ঠিক তেমনভাবেই মহাদেশীয় কোটায় টোকিও অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যান এই বঙ্গ তনয়া। শুধু অলিম্পিক্সই নয়, প্রণতির পাখির চোখ ২০২২ কমনওয়েলথ এবং এশিয়ান গেমসও।


Share this article
click me!