এ যেন স্বপ্নের শহর, দেখে নিন টোকিও অলিম্পিক ভিলেজের অন্দরমহল ও তার বিশেষত্ব

২৩ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে টোকিও অলিম্পিক। চলবে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত।  মঙ্গলবার থেকে খুলে দেওয়া হয়ে প্রতিযোগীদের জন্য টোকিও অলিম্পিক ভিলেজ। মোট ২০৫টি দেশের ১১ হাজার অ্যাথলিট এবার টোকিও অলিম্পিক্সে অংশ নিতে চলেছেন।  সকলের জন্য বিলাস বহুল অলিম্পিক বিলেজ। সে যেন এক স্বপ্নের শহর।  ছবিতে দেখে নিন টোকিও অলিম্পিক ভিলেজের অন্দরমহল ও তার সুবিধা। 

টোকিওর হারুমি ওয়াটারফ্রন্ট জেলায় মোট ৪৪ হেক্টর জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে এই গেমস ভিলেজ।

এবার গেমস ভিলেজের ভেতরে চলাফেরাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আগে থেকে অনুমতি নিয়েই বেরোতে পারবেন অ্যাথলিটরা। কোনও সাংবাদিককে গেমস ভিলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

কঠোর নিরাপত্তা মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা অলিম্পিক ভিলেজকে। প্রতিযোগীরা কোনও ট্যুরিস্ট স্পট বা পাব ও রেস্তোরাঁতেও বেরোতে পারবেন না।

মোট ২১ টি আবাসিক বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে প্রতিযোগীদের জন্য। প্রতিটি বিল্ডিং থেকে প্রত্যেক দেশের জাতীয় পতাকা ঝোলানো।

অ্যাথলিটদের জন্য থাকছে বিলাসবহুল বেড রুম। প্রতি ঘরে থাকছে দুজন করে থাকার ব্যবস্থা। সুসজ্জিত বেড রুমের দৃশ্য মন ভালো করে দেওয়ার মত।

ঘরের ভিতর প্রয়োজনীয় যাবতীয় আসবাব পত্রও থাকছে। কোনও কিছুর যাতে অসুবিধে না হয়, তার ব্যবস্থা করেছে আয়োজকরা।

অলিম্পিক্সের ভিলেজে ডাইনিং হলও অবাক করার মত। যেখানে একসঙ্গে বসে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগিরা তাদের লাঞ্চও ডিনার সারবেন।

এছাড়াও প্রতিযোগিদের জন্য থাকছে অত্যাধুনিক ফিটনেস সেন্টার। যেখানে জিম থেকে শুরু করে যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যাবে।

অলিম্পিকে ডোপিও নিয়ে এবার খুব কড়াকড়ি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা। তাই আলাদা করে ভিলেজের ভিতরেই তৈরি করা হয়েছে ডোপিং সেন্টার।

২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বিশেষ ফিভার ক্লিনিক। যেখানে প্রতিযোগীদের করোনা হলে বা করোনার উপসর্গ দেখা গেলে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে।