
Firoz Khan Converts to Hinduism: কিছু গল্প শুধু শব্দে থাকে না, মনে গেঁথে যায়। এমনই এক সত্যিকারের হৃদয়স্পর্শী গল্প অযোধ্যার, যেখানে এক মুসলিম যুবক স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে সনাতন হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। উত্তরপ্রদেশের শ্রী ভরত হনুমান মিলন মন্দিরে এই ধর্মান্তর সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন যুবকের নতুন নাম কৃষ্ণ যাদব।
গ্রহণ করলেন সনাতন ধর্ম?
আম্বেদকর নগর জেলার মালিপুরের বাসিন্দা ফিরোজ খান, যিনি এখন কৃষ্ণ যাদব, গত কয়েক বছর ধরে অযোধ্যার করম আলী পুরোয়ায় ভাড়া থাকতেন এবং একটা মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে হিন্দু সংস্কৃতি, ভজন-কীর্তন, আরতি এবং পূজা-অর্চনার প্রতি তাঁর আগ্রহ বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে তাঁর মন সনাতন ঐতিহ্যের প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করে। হিন্দু ধর্মের সহিষ্ণুতা, আধ্যাত্মিকতা এবং সংস্কৃতি তাঁকে এতটাই প্রভাবিত করে যে অবশেষে তিনি সনাতন ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন।
কৃষ্ণ যাদব বলেন, যখন থেকে আমি রামনগরীতে এসেছি, আমার জীবন বদলে গেছে। আমি হিন্দু ধর্ম পছন্দ করি। আমি নিজের ইচ্ছায় হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করছি। তিনি আরও বলেন, আমি মুসলিম ধর্ম পছন্দ করি না। এখন আমার নাম কৃষ্ণ যাদবই থাকবে।
কীভাবে হল ধর্মান্তর?
ভরতকুণ্ড স্থিত শ্রী ভরত হনুমান মিলন মন্দিরে মহন্ত পরমাত্মা দাস জি এবং অন্যান্য সন্ন্যাসীদের উপস্থিতিতে বিধি মেনে শুদ্ধিকরণ এবং পূজা-অর্চনার পর ফিরোজ খানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষা দেওয়া হয়। এই উপলক্ষে তাঁকে হনুমান চালিশা উপহার দেওয়া হয় এবং মন্দির প্রাঙ্গণে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। এখন তিনি সম্পূর্ণভাবে সনাতন ঐতিহ্য মেনে চলছেন।
উপাধি 'যাদব' কেন?
ফিরোজের নতুন নাম কেন কৃষ্ণ যাদব রাখা হল? এই প্রসঙ্গে সন্ন্যাসীরা বলেন, এই নামটি প্রতীকীভাবে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি তাঁর বিশ্বাস এবং ভক্তিকে প্রকাশ করে। যেহেতু ভগবান কৃষ্ণ যাদব বংশের এবং ফিরোজ নিজেও তাঁর আদর্শ এবং জীবন দর্শন থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছেন, তাই তাঁকে 'যাদব' উপাধি দেওয়া হয়েছে। কৃষ্ণ যাদব ওরফে ফিরোজের বাবা-মা এখন জীবিত নেই। একাকীত্ব এবং আধ্যাত্মিক শান্তির খোঁজে তিনি এমন পথ বেছে নিয়েছেন যা তাঁকে আত্মিক তৃপ্তি এবং আধ্যাত্মিক শক্তি দেয়। এখন তিনি হিন্দু ধর্ম মেনে জীবনযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।