
লখনউ। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন যে ২৫ নভেম্বর অযোধ্যার শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হবে। এই পতাকা মন্দির নির্মাণ সমাপ্তির প্রতীক হবে। মাটি থেকে প্রায় ১৯০ ফুট উচ্চতায় এই পতাকাটি উত্তোলন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মোহন ভাগবত পতাকা উত্তোলন করবেনচম্পত রাই জানিয়েছেন যে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরसंघचालक ডঃ মোহন ভাগবত নিজে পতাকা উত্তোলন করবেন। এই অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দী বেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও উপস্থিত থাকবেন। এই অনুষ্ঠানটি মূলত পূর্ব উত্তরপ্রদেশের জন্য কেন্দ্র করে রাখা হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই অনুরোধ করেছেন যে সমস্ত আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা যেন ২৪ নভেম্বরের সন্ধ্যার মধ্যে অযোধ্যায় পৌঁছে যান। ২৫ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে মন্দির চত্বরে প্রবেশ শুরু হবে এবং ৯টার পর প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি জানান, পতাকা উত্তোলনের कार्यक्रम দুপুর ২টোর মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এই সময়ে প্রায় ছয় হাজার আমন্ত্রিত অতিথি নির্দিষ্ট সারিতে থেকে দর্শন করবেন।
২৫ নভেম্বর বিবাহ পঞ্চমীও রয়েছে, তাই সমগ্র অযোধ্যায় রাম বিবাহ উৎসব পালিত হবে। প্রায় ১২ থেকে ১৫টি জায়গায় ভগবান রামের শোভাযাত্রা বের হবে। চম্পত রাই বলেছেন যে শোভাযাত্রা যেন বিকেল ৪টের পর বের করা হয়, যাতে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে কোনও অসুবিধা না হয়।
অনুষ্ঠানে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১৬০০টি ঘর বুক করা হয়েছে যাতে বাইরে থেকে আসা সেবক, कार्यकर्ता এবং বিশেষ অতিথিরা আরামে থাকতে পারেন।
চম্পত রাই জানিয়েছেন যে ২৫ নভেম্বর রাম জন্মভূমি চত্বরে সাধারণ দর্শনের অনুমতি থাকবে না। এই দিনটি বিশেষভাবে পতাকা উত্তোলন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের দর্শনের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে।
এই আয়োজন শুধুমাত্র মন্দির নির্মাণের সমাপ্তির প্রতীক নয়, এটি সমগ্র দেশের জন্য আস্থা এবং গর্বের মুহূর্তও হবে। রামলালার মন্দিরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের এই দৃশ্য শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অযোধ্যার মহিমা এবং ভারতের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে তুলে ধরবে।