
অযোধ্যা। শ্রীরামের শহর অযোধ্যা এখন আর শুধু ধর্মীয় আস্থার কেন্দ্র নয়, বরং একটি বিশ্বমানের স্মার্ট ধর্মীয় শহর হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। ২৫ নভেম্বরের ধ্বজারোহণ অনুষ্ঠান নব্য অযোধ্যার স্বপ্নকে সত্যি করবে। এই পরিবর্তন বৈদিক দর্শনের উপর ভিত্তি করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ মডেল, যেখানে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করে আধুনিক সুবিধার বিকাশ ঘটানো হচ্ছে। অযোধ্যা মাস্টার প্ল্যান ২০৩১ এবং ভিশন ২০৪৭-এর অধীনে শহরটি স্থিতিশীল উন্নয়নের উদাহরণ হয়ে উঠছে। এর ফলে ধর্মীয় পর্যটনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত স্তরেও ব্যাপক সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে। যোগী সরকারের লক্ষ্য ভবিষ্যতে অযোধ্যাকে বিশ্বের প্রধান আধ্যাত্মিক শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
নব্য অযোধ্যার স্থাপত্য বৈদিক সংস্কৃতি এবং বাস্তুশাস্ত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত। গুপ্ত যুগের ঐতিহ্যবাহী नागर শৈলীতে রাম মন্দিরের নির্মাণ, যা পুরনো শৈলীকে পুনরুজ্জীবিত করে, পুরো শহরের পরিকল্পনার ভিত্তি। ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রামায়ণ সংগ্রহালয় (টেম্পল মিউজিয়াম) আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে রামকথা তুলে ধরবে। ৩ডি মডেল, লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো এবং রাম বন গমন পথ দর্শকদের রামায়ণের ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে যুক্ত করবে।
শহরের ১০৮টি ঐতিহাসিক কুণ্ডের সংস্কার, সরযূ নদীর ঘাটগুলির সৌন্দর্যবর্ধন এবং ঐতিহ্যবাহী পরিক্রমা পথগুলির नवीनीकरण বৈদিক জল সংরক্ষণ এবং সাংস্কৃতিক সুরক্ষার চেতনাকে শক্তিশালী করে। শ্রী রাম হেরিটেজ ওয়াকে ১৬২টি টেরাকোটা ম্যুরাল রামায়ণের কাহিনী প্রদর্শন করবে, যা দর্শকদের ইতিহাসের সঙ্গে গভীর সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে।
স্মার্ট সিটি মাস্টার প্ল্যানের অধীনে অযোধ্যায় আধুনিক পরিকাঠামো দ্রুত গড়ে উঠছে।
নব্য অযোধ্যার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এর সবুজ উন্নয়ন।
নব্য অযোধ্যার উন্নয়ন সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
পরিশেষে, ‘নব্য অযোধ্যা’ প্রমাণ করে যে উন্নয়নের ফলে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নষ্ট হয় না, বরং আরও সমৃদ্ধ হয়। ধ্বজারোহণ অনুষ্ঠানের সঙ্গে অযোধ্যা নতুন ভারতের প্রতীক হয়ে উঠবে—যেখানে আস্থা, প্রযুক্তি এবং প্রকৃতি একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। অযোধ্যা এখন তরুণদের জন্যও নতুন সুযোগের কেন্দ্র হয়ে উঠছে।