
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সোমবার জনকল্যাণের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে 'জনতা দর্শন' অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষের সমস্যা শোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রত্যেক অভিযোগকারীর কাছে পৌঁছান। কেউ পুলিশ সংক্রান্ত অভিযোগ করেন, তো কেউ আর্থিক সহায়তা এবং জমি বিবাদের সমস্যা জানান। মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত মামলার সময়মতো নিষ্পত্তি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেওয়ার কঠোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন যে সরকার প্রতিটি প্রদেশবাসীর নিরাপত্তা ও সম্মানের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জনতা দর্শনে প্রায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। মানুষজন চুরি, জমি সংক্রান্ত বিবাদ, পারিবারিক বিবাদ এবং আর্থিক সাহায্যের মতো অভিযোগ তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেক অভিযোগকারীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন যে জনগণকে ন্যায়বিচার দেওয়া সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
অনুষ্ঠানে অনেকেই পুলিশের পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিছু অভিযোগকারী চুরির ঘটনায় মালামাল উদ্ধার না হওয়া এবং জমি দখলের অভিযোগ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন যে প্রতিটি মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে এবং ভুক্তভোগীর সন্তুষ্টি না হওয়া পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রশাসনের দায়িত্ব শুধু অভিযোগ নথিভুক্ত করা নয়, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
এক পীড়িত মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য চান। এর উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন -
“আপনি শুধু হাসপাতাল থেকে এস্টিমেট পাঠান এবং রোগীর যত্নের দিকে মনোযোগ দিন। টাকার অভাবে কারও চিকিৎসা যেন বন্ধ না হয়। সরকার প্রত্যেক অভাবী মানুষের পাশে আছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসে উপস্থিত মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ও সহানুভূতির পরিবেশ তৈরি হয়।
জনতা দর্শনে অনেক অভিযোগকারী তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী শিশুদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বলেন, তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করেন এবং চকলেটও দেন। তিনি শিশুদের বলেন -
“মন দিয়ে পড়াশোনা করো, প্রাণ খুলে খেলো এবং বাবা-মায়ের নাম উজ্জ্বল করো।” মুখ্যমন্ত্রীর এই সরলতা ও আন্তরিকতায় জনতা দর্শনের পরিবেশ মানবিক ও অনুপ্রেরণাদায়ক হয়ে ওঠে।