
Nationwide Mock Drill: ৭ই মে, ভারতে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। সারা দেশ জুড়ে একসঙ্গে মক ড্রিল। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এই স্তরে প্রথমবারের মতো এই মহড়া। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ২৪৪টি নির্বাচিত জেলায় এই মক ড্রিল। উত্তরপ্রদেশ সরকার আরও গুরুত্ব দিয়ে পুরো রাজ্যে মক ড্রিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডিজিপির ঘোষণা, উত্তরপ্রদেশের প্রতি জেলায় বাজবে সাইরেন
উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, ভারত সরকারের কাছ থেকে মক ড্রিলের নির্দেশ এসেছে। উত্তরপ্রদেশের ১৯টি জেলাকে বিশেষ শ্রেণিতে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্যের স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করে সরকার সব জেলায় সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ প্রশাসন, অগ্নিনির্বাপক বাহিনী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর সঙ্গে মক ড্রিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
A শ্রেণিতে নরোরা, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেলা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তালিকায় বুলন্দশহরের নরোরা জেলা A শ্রেণিতে। এখানকার নরোরা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি। যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে এই এলাকা লক্ষ্যবস্তু হতে পারে, তাই এখানে মক ড্রিল গুরুত্বপূর্ণ।
B শ্রেণির জেলা, যেখানে বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর ঘাঁটি
B শ্রেণিতে রয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং সেনাবাহিনীর বৃহৎ ঘাঁটি থাকা জেলাগুলি:
এই স্থানগুলিতে সেনাবাহিনীর তৎপরতা যুদ্ধকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
C শ্রেণিতে বাগপৎ ও মুজাফফরনগর কেন গুরুত্বপূর্ণ?
C শ্রেণিতে বাগপৎ ও মুজাফফরনগর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখানেও মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে। এই জেলাগুলি কৌশলগত এবং সামাজিকভাবে স্পর্শকাতর।
সাইরেন, সতর্কতা এবং পূর্ণ তৎপরতা, এভাবেই হবে মক ড্রিল
মক ড্রিল চলাকালীন জেলাগুলিতে সাইরেন বাজবে, জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা সক্রিয় হবে এবং প্রশাসন জরুরি অবস্থার মতো সাড়া দেবে। এর উদ্দেশ্য হলো যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবস্থার প্রস্তুতি এবং সমন্বয় পরীক্ষা করা।
ভয় পাওয়ার নয়, সচেতন হওয়ার প্রয়োজন
সরকার ও প্রশাসনের এই মক ড্রিল কাউকে ভয় দেখানোর জন্য নয়, বরং জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য। এই মহড়া নিশ্চিত করবে যে যুদ্ধ বা দুর্যোগের মতো পরিস্থিতিতে আমরা কতটা প্রস্তুত।
কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা বলেছেন যে ,যে ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা হবে তার মধ্যে রয়েছে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন চালু করা এবং বেসামরিক নাগরিক, শিক্ষার্থী সকলের বেসামরিক প্রতিরক্ষার দিকগুলি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাতে তারা শত্রুপক্ষের আক্রমণের ঘটনায় নিজেদের রক্ষা করতে পারে।
সূত্রগুলি বলেছে যে ব্যবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট ব্যবস্থার বিধান, গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সরকারি পরিকাঠামো রক্ষার জন্য গোপনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। স্থানান্তর পরিকল্পনা আপডেট করা এবং তারই মহড়া দেওয়া। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, যেখানে ২৬ জন, বেশিরভাগই পর্যটক, নিহত হয়েছেন। সরকার বলেছে যে জঙ্গি হামলার অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে রবিবার পুরো ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ৩০ মিনিটের ব্ল্যাকআউট মহড়া চালানো হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড/স্টেশন কমান্ডারের নির্দেশিকা অনুযায়ী মহড়া চালানো হয়েছে। "রাত ৯টা থেকে ৯:৩০টা পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী, লাইট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গাড়িগুলিরও আলো জ্বানলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। অনেক গাড়ির আলো বন্ধ করে দেওয়া হত... পুলিশ সম্পূর্ণ সতর্ক। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে," ফিরোজপুর ক্যান্ট্ট থানার SHO গুরজন্ত সিং বলেছেন।